পুজোর মরশুমে ব্যস্ত কুনোরের হাট পাড়ার মৃৎ শিল্পীরা

0
80

পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ

porter busy in puja season | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

বাঙালি উৎসব প্রেমী।যে কোন উৎসবে গা ভাসিয়ে দেয় আবাল-বৃদ্ধ-বনিতে।হাতে আর কয়েক দিন তার পড়েই উৎসবের মরশুম।একে একে বিশ্বকর্মা পূজা,দূর্গা পূজা,লক্ষ্মী পূজা এবং কালি পূজা।আর পূজার সামগ্রীর মধ্যে অন্যতম সামগ্রী হল মাটির ধূনচি,ঘট ও প্রদীপ।

porter busy in puja season | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

একটু বেশি মুনাফা লাভের আশায় এখন বেজায় ব্যস্ত উত্তর দিনাজপুর জেলার কুনোরের হাট পাড়ার মৃৎ শিল্পীরা।কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হবার ফলে সমস্যা হলেও সব সমস্যা অতিক্রম করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে শিল্পীরা।বাড়ির সকলে মিলে দিন রাত এক করে মাটি দিয়ে ঘট,ধূনচি ও মাটির প্রদীপ বানিয়ে চলেছে।

the porter busy in puja season | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র
মাটির পুজোর সামগ্রী।নিজস্ব চিত্র

তাদের হাতের তৈরি মাটি ধূনচি,ঘট,প্রদীপ জেলার ভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি আশে পাশের এমনকি বিহার রাজ্যেও চলে যায় পাইকারেরা।তার পাশাপাশি মৃৎ শিল্পীরা কালিয়াগঞ্জের বিভিন্ন হাটে গিয়ে বিক্রি করে।খুচরো হিসাবে ১০-১৫ টাকা ঘট ও ধূনচী বিভিন্ন সাইজের এবং পাইকারি হিসাবে ৭-৮ টাকা দরে।

আরও পড়ুনঃ বাইরের মৃৎশিল্পীদের চাপে উপার্জন নিয়ে হতাশ আলিপুরদুয়ারের মূর্তি নির্মাতারা

ফন্টু রায়, মৃৎ শিল্পী।নিজস্ব চিত্র

মূনাফা ভালোই হয় কম বেশি।সারা বছর মাটির কাজ করেই চলে তাদের একটু বেশি মুনাফা লাভের আশায় রাত দিন এক করে মাটির ঘট,ধূনচি বানিয়ে চলছে মৃৎ শিল্পীরা।বাড়ির মহিলার সংসারের যত টুকু না করলে হয় না তত টুকু কাজ করে স্বামীর সাথে হাত মিলিয়ে কাজ করছে বলে জানান মহিলা মৃৎশিল্পী।

এই মাটির ঘট ও ধূনচি তৈরি যথেষ্ট কঠিন কাজ বলে জানান মৎশিল্পীরা।বিল থেকে কাদা মাটি এনে কাদা মাটিকে হাতের কৌশলে ঘট ও ধূনচির আকার দেবার পর তা রোদে শুকিয়ে নিতে হয়।

পড়ে তাতে রঙ করার পড় আগুনে পোড়াতে হয়।আগুনে পোড়া হলে সেই ঘট ও ধূনচি বাজারে বিক্রির যোগ্য হয়।বাঙালীর উৎসব মরশুমে পুজো মন্ডপে মন্ডপে মাটির ঘট ও ধূনচি ও প্রদীপ যোগাতে এখন তাই চরম ব্যস্ততা কুনোড়ের হাট পাড়ায়।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here