শিবশঙ্কর চ্যাটার্জ্জী, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
দেশের শিক্ষার হার ক্রমাগত বেড়ে গেলেও তৈরি হচ্ছে বেকারত্বের সমস্যা। চাকরি নেই সংসারে অভাব অনটন। সেই অভাব-অনটন ঘোচাতে অভিনব উদ্যোগকে কাজে লাগিয়েছে এক যুবক।
মিলন সূত্রধর বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর পুরসভার অন্তর্গত ৫নং ওয়ার্ডের বংশীহারী স্কুল মোড় এলাকায়।
মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে হয়েও শিক্ষার কোন কমতি রাখেনি সে বিএ পাশ করার পরে ডিইএলএড কোর্স কমপ্লিট করা আছে তার কিন্তু চাকরি নেই কোথাও দেশে যখন বেকারত্বের হার বেড়ে যাচ্ছে তখন সে বসে না থেকে নিজে স্বনির্ভর হওয়ার রাস্তা দেখলেন।
ইউটিউব খুলে অভিনব পদ্ধতিতে মুরগি এবং হাঁসের ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো এবং তার পরিকাঠামোর জন্য যে সমস্ত সরঞ্জামের প্রয়োজন সে সমস্ত জিনিস সে নিজেই তৈরী করে ফেললেন এবং আস্তে আস্তে মুরগি এবং হাঁসের ডিম থেকে বাচ্চা ফোটাতে থাকেন এবং সেটা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হতে থাকেন।
আরও পড়ুনঃ একমাস ধরে মেমারি স্টেশনে বন্ধ টিকিট কাউন্টার, ভোগান্তি যাত্রীদের
মিলনবাবু জানিয়েছেন ইউটিউব দেখেই মুরগি এবং হাঁসের বাচ্চা প্রতিপালনে আগ্রহী হয়েছেন তারপর সে জিনিসগুলো কিনে নিয়ে এসে নিজেই পরিকাঠামো বানিয়ে ফেললেন এবং শুরু করলেন হাঁস-মুরগি প্রতিপালন।
আস্তে আস্তে চলে যায় দেড় বছর এখন মিলন বাবু অনেকটাই আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হয়েছেন এ ব্যবসায়। তিনি জানিয়েছেন বিহার থেকে বিভিন্ন প্রজাতির হাঁস এবং মুরগির ডিম কিনে নিয়ে এসে সেগুলো বৈদ্যুতিক আলোর মাধ্যমে বাচ্চা ফোটাচ্ছন । সেই ডিম থেকে বাচ্চা বের হতে সময় লাগে প্রায় ২৮ দিন তারপর সেগুলো বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় লেখা বাধ্যতামূলক আসানসোল পুরসভায়
তিনি জানিয়েছেন, একবারে প্রায় ৩০ হাজার টাকার ডিম নিয়ে আসেন তিনি এবং সেখান থেকে বাচ্চা ফুটলে ৬০ হাজার টাকার বেশি মুনাফা অর্জন করেন তিনি।
অর্থাৎ সবমিলিয়ে সব মিলিয়ে প্রায় মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় করেন ওই ব্যক্তি। আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকায় উন্নতমানের যন্ত্রপাতি কিনতে পারছেন না ওই যুবক সে কারণে প্রশাসনের কাছে আর্থিক সহায়তার আর্জি জানিয়েছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584