‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ঘিরে অন্য রকম বর্ষবরণে প্রস্তুত সংস্কৃতির শহর বহরমপুর

নিজস্ব সংবাদদাতা,মুর্শিদাবাদঃ

বারো মাসে তেরো পার্বণ উদযাপন করা বাঙালি,ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করা বাঙালি।কবিতায় গানে ছবিতে আড্ডায় তর্কে প্রিয় বাঙালি।সেই বাঙালিকে তার সংস্কৃতি থেকে ছিন্নমূল করার অপচেষ্টা চলছে বিভিন্নভাবে।বিভেদের চোরা বিষে তলিয়ে দেওয়ার দুষ্ট চক্র অতীব সক্রিয়তায় তা করে চলেছে।

বিভেদকামিতার বিরুদ্ধে মিলনেরই সুরকে উর্ধ্বে তুলে ধরতে পারে একমাত্র সংস্কৃতি,কৃষ্টি।বাঙালির সেই সংস্কৃতিকে নিয়েই একান্ত বাঙালির উৎসব নববর্ষকে ঘিরে বিগত বছরে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিল সংস্কৃতির শহর বহরমপুরের কিছু সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিত্ব।

আরও পড়ুনঃ বর্ষবরণে ফাঁকা বাড়ির সুযোগে চুরি

একবুক স্বপ্ন নিয়েও নিয়েও ছিল সংশয় হবে তো(?)।হয়েছে।উপছে পড়েছিল শহর বহরমপুর এবং সংলগ্ন এলাকার মানুষ।নতুন সাজে গানে কবিতায় ঢাকের তালে রণপায়ে রাইবেশে সে এক অন্য মিছিল।কত রঙ কত রূপ মিশে গিয়েছিল সে মিছিলে।কোথায় ঘৃণা কোথায় বিদ্বেষ(?)ভালোবাসা এতো রূপ এক সাথে মিলে যেতে পারে যেখানে।

বছর ঘুরে ফিরে আসছে আবার নববর্ষ।ভালোবাসার গান মিলনের সুর নিয়ে আবার সাজো সাজো।উৎসাহ এবার দ্বিগুন।মুখোশ তৈরির ব্যস্ততা।আয়োজনের পরিকল্পনা।দ্বারে দ্বারে ঘুরে শোভাযাত্রার খরচের অর্থ সংগ্রহ আবার প্রস্তুত বহরমপুর।রঙিন সাজে মায়ের হাত ধরে আসবে সেই শিশু যার মনের অন্তঃস্থলে রোপিত হবে মিলনের সুর।আসবে প্রেমিকা প্রেমিকের হাত ধরে।

গানের কলিতে প্রবীন মানুষ খুঁজে পাবেন ক্ষীন হয়ে আসা সুরের মূর্চ্ছনা।পুরানো বছরের অন্ধকার দূর হয়ে নতুন বছরের নব আলোয় উদ্ভাসিত হওয়ার মুহূর্তকেই এই শোভাযাত্রার মাহেন্দ্রক্ষণ হিসাবে বেছে নিয়েছেন আয়োজকরা।আগামী সোমবার ১৫ এপ্রিল সকাল সাতটায় বহরমপুর ভৈরবতলা মাঠ থেকে রবীন্দ্রসদন পর্যন্ত কালো পিচ রাস্তা হয়ে উঠবে রঙিন মঞ্চ।আকাশে ভাসবে গানের সুর।এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।