নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ারঃ
‘আকাশে বাতাসে পুজোর গন্ধ লেগেছে।’ আর শরৎ মানেই মায়ের আগমন, দুর্গা পুজা। বর্ষার কালো মেঘ, গম্ভীর পরিবেশ, হাঁটু জল সবকিছুকে পিছনে ফেলে কাশফুল আর পেঁজা তুলোর মতো মেঘ যেন জানান দিচ্ছে মা আসছেন।
হাতে আর মাত্র কয়েকটি দিন, তারপর আপামর বাঙালি মেতে উঠবে মায়ের আগমনে। মেতে উঠবে আনন্দ উৎসবে, মেতে উঠবে নতুন নতুন সাজ পোশাকে।
বাঙালির ‘বারো মাসে তেরো পার্বণ’ এর মধ্যে সবথেকে বড় পার্বণ হিসাবে দুর্গা পুজার নাম ই প্রথম সারিতে। পুজোর আগমনী ঘণ্টা বাজার সাথে সাথে চুরান্ত বাস্ততা চোখে পড়ল কুমোরটুলিতে।
নাওয়া-খাওয়া ভুলে ইতিমধ্যে কুমোরটুলির প্রায় সকল প্রতিমা শিল্পীদের ব্যাস্ততা এখন তুঙ্গে। দেবী দূর্গার অনিন্দ্যসুন্দর রূপ দিতে দিনরাত চলছে কাজ।
ইতিমধ্যেই প্রতিমার মাটির কাজ প্রায় শেষ পযার্য়ে রয়েছে। এরপর শুরু হবে রং ও সাজসজ্জর কাজ। তবে বাইরের শিল্পীদের কদর বাড়লেও দুর্গা প্রতিমা তৈরিতে কদর নেই স্থানীয় শিল্পীদের।
আর সেই কারনে কৃষ্ণনগর ও কলকাতার শিল্পীদের ভাড়া করে এনে প্রতিমা গড়তে বাধ্য হচ্ছেন বাংলার প্রান্তিক জেলা আলিপুরদুয়ারের প্রতিমা শিল্পের কারখানার মালিকরা। এর ফলে ঠাকুর তৈরিতে খরচ বেশি হলেও সেই তুলনায় দাম পাওয়া যাচ্ছে না।
আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা প্রতিমা নির্মাণ কারখানায় ঘুরে দেখা মিলল প্রতিমা তৈরির জোর বেশি দেওয়া হয়েছে । এছাড়াও আলিপুরদুয়ারের অন্যতম নোনাই, আলিপুর হাটখোলা, কামাখাগুড়ি সহ বিভিন্ন জাগায় প্রতিমা নির্মাণের কাজ চলছে জোর কদমে।
আরও পড়ুনঃ ভোট শেষ বিক্রি হল না ঝান্ডা,হতাশ বিক্রেতারা
এদিন আলিপুরদুয়ার হাট খোলার মৃৎশিল্পী জয় পাল জানান,”এবার বাজার খুব খারাপ কি হবে বুঝতে পারছিনা। এক সময় প্রতিমা আসাম যেত এখন যায়না । নতুন ধরনের কিছু প্রতিমা আছে। তবে কাস্টমারের দেখা নেই।”
জানা গিয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলার আড়াইশর বেশি মৃতশিল্পী রয়েছে। ছোট বড় সব মিলিয়ে পঞ্চাশের বেশি মৃণ্ময়ী মূর্তি তৈরির কারখানা রয়েছে। সব কারখানাতেই একই সমস্যা। শুধু কৃষ্ণনগর অথবা কলকাতার শিল্পীদের হাতে তৈরি প্রতিমা চাইছেন ক্লাব কর্তারা।
এদিকে কলকাতা বা কৃষ্ণনগরের শিল্পীদের ভাড়া করতে হলে উচ্চ হারে পারিশ্রমিক দিতে হয়। সেই টাকা দিয়ে এলাকার মাটির কারখানার মালিকরা পুশিয়ে উঠতে পারেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584