সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
ম্যানগ্রোভ ধ্বংস করে নদীর চর কেটে জমি ভরাটের অভিযোগ উঠলো পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভুমি কর্মাধ্যক্ষ এর বিরুদ্ধে।অভিযুক্ত কর্মাধক্ষের নাম প্রদ্যুৎ মন্ডল।তৃনমূল দলের প্রভাব খাটিয়ে নদীর চরের মাটি কেটে জমি ভরাট করে প্রোমোটিং করার অভিযোগ উঠলো তার বিরুদ্ধে।নামখানা ব্লকের শিবরামপুর গ্রামপঞ্চায়েতের রাধানগর গ্রামের ঘটনা।
গ্রাম বাঁচাতে পথে নেমেছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে নামখানা ব্লকের বিজেপি নেতৃত্ব।শিবরামপু গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত গ্রাম রাধানগর।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূল সমর্থিত স্ব-সহায়ক দলের প্রধানের বিরুদ্ধে স্থানীয় মহিলাদের বিক্ষোভ
যে গ্রামে বাস প্রায় দু’হাজারেরো বেশি মানুষের।দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের অভাব আর অনটন নিত্য সঙ্গি। যে গ্রামের পশ্চিমে চিনাই নদীর শাখানদী সুন্দরীকা দোয়ানিয়া নদী।যা পূর্বে হরিপুর হয়ে বঙ্গোপসাগারের মোহনায় মিশেছে।এই সুন্দরীকা নদীর তটে অবস্থিত রাধানগর গ্রাম।শুধু রাধানগর নয়।আট থেকে দশটি গ্রাম রয়েছে সুন্দরীকা দোয়ানিয়া নদীর তীরে।
একটা সময় মানুষ যেখানে বসবাস গড়ে তুলেছেন।আজ বেশকিছু অর্থলোভী মানুষের সহযোগে হারাতে বসেছে নদীর চর।সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ভরা জঙ্গল।জঙ্গল পরিষ্কার করে নদীর চর কেটে এবার প্রোমোটিং করার চিন্তা ভাবনা নেন রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা ওরফে নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভুমির কর্মাধক্ষ প্রদ্যুৎ কুমার মন্ডল।
সুন্দরীকা দোয়ানিয়া নদীর ষাট থেকে সত্তর মিটার নদীর চরে থাকা ম্যানগ্রোভ গাছ প্রথমে ধ্বংস করে।
রাতের অন্ধকারে বুলডোজার চালিয়ে মাটি কাটে বলে অভিযোগ গ্রামবাসিদের।
নদীর চরে রয়েছে ইটের তৈরী রাস্তা।যা দিয়ে কুড়ি থেকে বাইশটি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন।রয়েছে বসতবাড়ি,মাছের ভেড়ি।রয়েছে চাষের জমি। চর কাটায় ভাঙনের আশঙ্কা করছেন অনেকে। দীর্ঘদিন ধরে এমনই করছে বলে দাবি গ্রামবাসিদের। বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসিরা দারস্ত হন নামখানা থানা,বকখালি রেঞ্জার থেকে মৌশুনি দ্বীপের ইরিগেশান দফতরে।
কোন সমাধান মেলেনি।প্রতিবাদ করায় হুমকি মিলেছে পুলিশি কেসে ফাঁসানোর,দাবি গ্রামবাসিদের । বাধ্য হয়ে এবার গ্রাম বাঁচাতে পথে নামলেন বিজেপির সাথে।গ্রামবাসিদের সঙ্গে নিয়ে নদীর চর বাঁচাতে আন্দলোনে নামলেন নামখানা মন্ডল দুয়ের বিজেপি সভাপতি কালাচাঁদ ভুঁইয়া ।
চরকাটা বন্ধ না হলে দফতর ঘেরাও এর ডাক তাঁর।বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে দাবি বন ও ভুমির কর্মাধক্ষ্য প্রদ্যুৎ মন্ডলের।নায়েক জঙ্গল যা নদীর চর পরার কারনে তিনি কেটেছেন বলে দাবি ।
নদীর চর কি ভাবে নিজের কেনা জমি বলে দাবি করেন, উঠছে প্রশ্ন।দফতরের দায়িত্ত থেকে কি ভাবে ভুমি ক্ষয়ে হাত লাগিয়েছেন তিনি।শুধু অর্থ কামানোর লোভ।গ্রামবাসিদের কথা, গ্রামের বাঁচানোর কথা ভেবে চর কাটাকি বন্ধ করবে প্রশাসন।সে দিকে তাকিয়ে রয়েছে এলাকাবাসী।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584