মনিরুল হক,কোচবিহারঃ
স্কুল শিক্ষকের বদলিকে ঘিরে ছাত্রের বিক্ষোভ কোচবিহারে।সোমবার ১০ জুন স্কুল শিক্ষাদপ্তরের নতুন নির্দেশিকায় গরমের ছুটি শেষে হয়ে প্রথম স্কুল খুলে পঠন পাঠন শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু কোচবিহার জেন্সকিন্স স্কুলের চিত্রটা ছিল এদিন অন্যরকম।এদিন ছাত্ররা স্কুলের মুল গেট আটকে শিক্ষকের বদলির প্রতিবাদে বিক্ষোভে দেখান।
এদিন ক্লাস শুরু হওয়ার আগে প্রত্যেক ছাত্রের হাতে ফেস্টুন নিয়ে ওই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
জানা গেছে,গত ফেব্রুয়ারি মাসে জেন্সকিন্স স্কুলের ইংরাজি শিক্ষক শঙ্কর দত্তের বদলির নির্দেশ আসে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে।তবে সেই সময় থেকে লোকসভা ভোটের কারনে সমস্ত সরকারি কর্মীরা নির্বাচন কমিশনারের অধিনে থাকায় তাকে কোচবিহারের জেন্সকিন্স স্কুল থেকে সরানো হয় নি।এরপর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় দুই মাসের জন্য স্কুল বন্ধের নির্দেশিকা জারি করা হয়।
আরও পড়ুনঃ অপরিকল্পিত প্রাথমিক শিক্ষক বদলির বিরুদ্ধে অবস্থান বিক্ষোভ
এর ফলে তাঁর বদলির নির্দেশ আসলেও সে এই স্কুল ছেড়ে যেতে পারেনি। ছাত্রদের মধ্যে তাদের কাছের শিক্ষকের হঠাৎ বদলির খবর ছড়িয়ে পড়তে ছাত্ররা একজোট হয়ে পথে নামে শিক্ষকের বদলি আটকাতে। একই ইস্যুতে স্কুল ছুটির সময়কালে কোচবিহার জেলা শাসকের কার্যালয়েও বিক্ষোভ দেখায় বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্ররা।
তাঁরা বলেন, জেন্সকিন্স স্কুলের ভর্তিতে এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের নেতার সুপারিশের বিরোধিতা করায় স্কুলের ইংরাজি শিক্ষক শঙ্কর বাবুকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এই অভিযোগে সোমবার জেন্সকিন্স স্কুলের ছাত্ররা ফটোক আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে এমনকি তারা স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদেরও স্কুলে ঢুকতে বাঁধা দেয়।জেন্সকিন্স স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্র বলেন,“অন্যায় ভাবে আমাদের স্কুলের ইংরাজি শিক্ষককে পুরুলিয়া জেলা স্কুলে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।আমরা স্যারের এই বদলি মানছি না।আমরা স্যারকে কোনভাবেই যেতে দেবনা,এর জন্য বৃহত্তর ছাত্র আন্দোলন গড়ে তুলবো।
রাজনৈতিক কারনে শঙ্কর বাবুকে সরিয়ে আমাদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবেনা।”
এ প্রসঙ্গে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত সহকারি প্রধান শিক্ষক বলেন,” আমি অনুমান করেছিলাম এই নির্দেশ ছাত্ররা জানার পর কোনও ঘটনা ঘটতে পারে।
আজ স্কুল খোলার পর স্কুলে এসে দেখি ছাত্ররা বিক্ষোভ দেখাছে। আমাদের কেও স্কুলের ভেতর ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আমি সরকারি কর্মচারী আমাকে সরকারি নির্দেশ মেনে কাজ করতে হবে। তবে বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।তবে এটা ঠিক আমাদের স্কুলে ইংরেজি শিক্ষক কম রয়েছে উনি চলে গেলে সত্যি ক্লাস নিতে অসুবিধে হবে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584