পিয়া গুপ্তা,মালদহঃ
লক্ষ্মী কিংবা মা সরস্বতী মূর্তির পুজো নয় এই গ্রামে মেয়েদের বিয়ে দিতে গেলে করতে হয় বিষধর সাপ এর পুজো।শুনলে অবাক হলেও এমনটাই সত্যি।
গ্রামের এই প্রথা প্রাচীন পরম্পরাগত ভাবে গ্রামের মানুষ আজও সাপ কেই পুজো করে চলছেন।কারণ এই গ্রামের মানুষের বিশ্বাস এই গ্রামে মেয়েদের বিয়ে দিতে গেলে সাপ কে পুজো করতেই হবে নইলে নাকি সাপের কামড়েই মৃত্যু হবে স্বামীদের।
তাই সাপ কেই নিয়মিত নীয়ম মেনে দুবেলা পুজো করে ধুপ দ্বীপ আরতি করেন এই গ্রামের মহিলারা।এমনই একটি গ্রামের সন্ধান মিললো পুরাতন মালদার দেবকুন্ড এর পার্শ্ববর্তী গ্রাম গুলো তে।এখানে বছরভর সাপ ও সাপের মূর্তি কেই পুজো করে এসেছেন এখানকার বাসিন্দারা। স্থানীয় বিশ্বাস অনুসারে, দেবীর আশীর্বাদে বিষাক্ত সাপের কামড়ে অনিষ্ট হয় না কারও।
আরও পড়ুনঃ বেলপাহাড়ির কানাইসোর পাহাড়ে পুজোয় ভক্তদের ভিড়
প্রতি বছরের এই দেবকুণ্ড এর পার্শ্ববর্তী গ্রাম গুলোতে মহাসমারোহে সমস্ত আচার মেনে পালন করা হয় নাগ দেবীর পুজো।এমনকি গ্রামে র প্রতিটি বাড়িতে ভগবানের কোন মূর্তি নেই আছে শুধু নাগ দেবীর মূর্তি।
গ্রামের মানুষের মান্যতা অনুসারে ৫০০ বছর আগে মালদা দেবকুন্ডে এর বেহুলা নদী দিয়েই একসময় বেহুলা তার মৃত স্বামী লখিন্দর কে নিয়ে এসেছিল ঐ গ্রামে।
সাপের কামড়ে মৃত্যু হওয়া স্বামী লখিন্দরকে নিয়ে নদীতে কলার ভেলায় ভেসে যাচ্ছিলেন,তখন ঐ গ্রামের নদীপাড়ে কিছু বিবাহিত মহিলা তা দেখে হাসাহাসি করেছিলেন৷ তারই জেরে নাকি বেহুলা অভিশাপ দিয়ে বলেছিলেন বিধবা এলাকা হবে এটি।সেই জন্যই এলাকায় বিধবার সংখ্যা সব থেকে বেশি বলে স্থানীয় মানুষদের ধারণা।
তাই এই গ্রামে মেয়েদের বিয়ে দিতে হলে পুজো করা হয় নাগ দেবী মনসার।প্রতিবছর সাড়ম্বরে পালিত হয় এখানে নাগ দেবীর পুজো।এছাড়া এই গ্রামে কোন মেয়ে র বিয়ে দিতে গেলে গ্রামের বাসিন্দাদের সন্তুষ্ট করতে হয় নাগ দেবীকে এমনি মান্যতা চলে এসেছে এই গ্রামে।রাজ্যের এক নজিরবিহীন এই গ্রামে আজ থেকে বহু বছর ধরে এই প্রথাই চলে আসছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584