সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ
রেল গেট খোলা। তবুও একের পর এক ট্রেন আসছে। আশেপাশে কোন রক্ষী নেই। নেই রেলকর্মীর সতর্ক বার্তা। রেল লাইনের উপরে দাঁড়িয়ে আছে বাস, একাধিক গাড়ি, পথচারী।
পাশ দিয়ে ছুটে চলে গেল শিয়ালদহগামী মা তারা এক্সপ্রেস। যেকোনও সময়েই ঘটে যেতে পারত একটা দুর্ঘটনা। ভাগ্য ভাল ঘটেনি। এরপরেই বিকট আওয়াজ তুলে রেললাইনের গা ঘেঁষে থমকে দাঁড়াল একটি বাস। ঠিক তার সামনে দিয়ে বেরিয়ে গেল হাওড়ামুখী এক্সপ্রেস।
বর্ধমান হাওড়া মেইন লাইন মেমারির কাছে দেবীপুর রেলগেটে বরাতজোরে এভাবেই প্রাণে বাঁচলেন বাসযাত্রী থেকে পথচারীরা। এলাকার মানুষের দাবি যে কোন মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। রেলের তরফে কোন পাহারা বা অস্থায়ী ব্যারিকেডের ব্যবস্থাও নেই।
যদিও রেল আধিকারিকরা দাবি করেছেন, ওই রেলগেটে সমস্যা দেখা দেয় সোমবার বিকাল থেকেই। সেই কারণে সিগনাল লাল হয়ে যায়। গেট খারাপ হয়ে যাওয়ার ফলে ইন্টারলকিং পদ্ধতিতেও গোলমাল দেখা যায়।
নতুন নিয়মে রেলগেটের সিগনাল না পেলে যে কোনও ট্রেন আগে দিনের বেলা ১ মিনিট এবং রাত্রে ২ মিনিট অপেক্ষা করে। রেলগেট পার হওয়ার সময় যানের গতিবেগ ঘন্টায় ১৫ কিলোমিটার থাকতে হয়। যাত্রী সুরক্ষার্থে রেলকর্মীরা গেটে দাঁড়িয়ে থাকেন। রেল আধিকারিকের দাবি, দেবীপুরে ঘটনা ঘটছে সবটাই নিয়ম মেনে।
আরও পড়ুনঃ পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন বহরমপুরে
যদিও রাজু দাস নামের এক বাসযাত্রীসহ অন্যান্য বাসচালকেরা জানান, রেলগেট খারাপ হতেই পারে কিন্তু সতর্ক করার জন্য রেলের তরফে ওই জায়গায় রেলকর্মী মোতায়েনের প্রয়োজন ছিল।
বাসের যাত্রীরা প্রশ্ন তুলছেন, গেট খোলা সতর্ক করার জন্য কেন কোনও কর্মী নেই? প্রশ্ন উঠছে সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিয়ে। রেলের তরফে যদিও দাবি করা হয়েছে, ম্যানুয়াল রেলগেট লাগানোর কোনও পদ্ধতি না থাকায় রিভার্স লাইন থেকে নির্দিষ্ট দূরে গাড়ি ও যাত্রীদের আটকানো হয়েছে। চলছে যথাসম্ভব সতর্ক করার প্রচেষ্টা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584