সুদীপ পাল বর্ধমান
টানাটানির সংসার। নুন আনতে পান্তা ফুরায়। তবু বাড়ি ফেরার সময় আয়ের ৭০ টাকা থেকে ৩০ টাকা খরচ করে টিকিট কিনেছিলেন গুসকরা রিকশাচালক গৌর দাস।
কিছুটা জোরাজুরি করে দোকানদার তাঁকে টিকিট ধরিয়ে দিয়েছিলেন। কে ভাবতে পেরেছিল এই টিকিটে বদলে যাবে তাঁর ভাগ্য। রাতারাতি ৫০ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছেন গৌর। গুসকরার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মুচিপাড়া এলাকার বাসিন্দা গৌর দাস সেলিব্রেটি এখন। এলাকার মানুষ ভীড় জমাচ্ছেন তাঁর বাড়িতে।
ইটের গাঁথুনি আর এডবেস্টারের একটি কামরায় গাদাগাদি করে নিত্যদিনের জীবন যাপন। রিক্সা চালানোর ফাঁকে সংসারের জন্য দিনমজুরিও করতে হয়। কয়েকদিন বৃষ্টির জন্য রিক্সার বাজার সেরকম নেই। সকালে বাড়ি ফেরার পথে টিকিট বিক্রেতা জোর করেই নাগাল্যান্ড সরকারের ৫ সেমের টিকিট তাঁকে দেন। গৌর বলছেন, ‘পকেটে মাত্র ৭০ টাকা ছিল।
আরও পড়ুনঃ কাপগাড়ি কলেজের সোনার মেয়ে রিমা
তাই টিকিট কিনতে চাইনি। তবে বিক্রেতা খুব জোরাজুরি করায় শেষ অব্দি টিকিটটা নিয়ে নিই।’ এরপরে কাউন্টারের টিকিট মেলাতে গিয়ে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যায় গৌর। প্রথম পুরস্কার তিনি পেয়েছেন। ঘাবড়ে যান গৌর। ব্যাঙ্কে গিয়ে টিকিট জমা করে আপাতত স্বস্তির শ্বাস ফেলেছেন তিনি। ভয় ছিল এতগুলো টাকা পাঁচ কান হলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
কি করবেন এত টাকা নিয়ে? উত্তরে গৌর জানান, ছোট ঘরে থাকতে কষ্ট হয়। ছেলেমেয়েদেরও পয়সার অভাবে ঠিকমতো শিক্ষা দিতে পারা যায়নি। এরপরে ভাল স্কুলে লেখাপড়া শেখাবেন বলে তিনি জানান। রিক্সা ছেড়ে টোটো কেনার পরিকল্পনা রয়েছে বলছেন গৌর। গৌরের স্ত্রী উপরওয়ালাকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন। অভাবের সংসারে দুমুঠো চালের অভাব আর হবে না বলেই মনে করেন গৌরের স্ত্রী।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584