সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
প্রতিনিয়ত নারীরা নির্যাতিত হচ্ছেন।ঘরে ও বাইরে সর্বক্ষেত্রে নারীরা শিকার হচ্ছেন লাঞ্চনার। এই সমাজে অ্যাসিড সন্ত্রাস,যৌতুক,ধর্ষণ, অপহরণ ঘটে চলেছে ।
প্রকৃতপক্ষে নারীর গণতান্ত্রিক সকল অধিকার রক্ষা ও সর্বক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। পাশাপাশি আপনার আমার সমাজের সর্বস্তরের সচেতন মানুষের।
দক্ষিন ২৪ পরগনায় নারীর অধিকার নিয়ে কাজ করছেন ‘নিষ্ঠা’।বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের অক্লান্ত পরিশ্রমে কর্মীরা জীবন যুদ্ধে বাধা বিপত্তিকে হার মানিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক সমাজের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন নিষ্ঠা।
উনবিংশ শতাব্দির সত্তরের দশকে নিষ্ঠার প্রতিষ্ঠা করেন প্রতীলতা দাস।পাঁচজন মহিলাকে নিয়ে পথ চলা শুরু হয়।দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলায় দিকে দিকে বিস্তার করে নিষ্ঠা।বর্তমানে জয়নগর ,সোনারপুর,মগরাহাট ২ ও বিষ্ণুপুর এক নম্বর ব্লকে কাজ করছে।নারী নির্যাতন ও লিঙ্গ বৈষম্যর উপরে কাজ করছে নিষ্ঠা।
মগরাহাট দু’নম্বর ব্লকের ধামুয়া দক্ষিন গ্রামপঞ্চায়েতে সচেতন কর্মশালার আয়োজন করেন নিষ্ঠা।গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শ্যামলি নস্কর, উপপ্রধান পরিমল বাড়িক, মগরাহাট দুনম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি খয়রুল হক লস্কর গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠির মহিলাদের নিয়ে কর্মশালায় অংশ নেন।নারীদের প্রতি সচেতনতা খুলি সাধারন মানুষ।সুন্দরবন লাগোয়া জয়নগর লোকসভা।
এই লোকসভার প্রত্তন্ত পঞ্চায়েত সমিতি মগরাহাট ২।ধামুয়া দক্ষিন গ্রামপঞ্চায়েতগোকুর্নি,ধামুয়া,মুলদিয়া,যুগদ্বিয়া গ্রামে চলছে নিষ্ঠার নিঃস্বার্থ কাজ।কাজের প্রয়াসে সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্চায়েত উপ প্রধান পরিমল বাড়িক।
নিষ্ঠার কাজে সাধুবাদ জানিয়েছেন মগরাহাট ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সহকারী সভাপতি খয়রুল হক লস্করের।সমাজে প্রায়ই দেখা যায় ইভটিজিং এর ঘটনা।এর কারণে অনেক সময় অপমানিত হয়ে আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটে।
নারী নির্যাতনের যে ভয়াবহ রূপটি ব্যক্তিগত ও সমাজ জীবনের ওপর মারাত্মক ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলে।নিষ্ঠার পাশে দাঁড়িয়ে সমাজের কাজে যদি সবাই এগিয়ে আসে তাহলে হিংস্রতা, নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা দুর হবে এই সমাজ থেকে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584