নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
জেলা আদালত থেকে এবার সরতে চলেছে খড়্গপুর মহকুমা আদালত।আর এই নিয়েই আইনজীবীদের বিক্ষোভ চরমে।চলছে তিনদিনের কর্মবিরতীও।আর যা নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বিচার প্রার্থীরা। বেশ কয়েকবছর আগেই খড়্গপুর শহর লাগোয়া বুলবুলচটিতে মহকুমা আদালতের বিল্ডিং তৈরির কাজ সমাপ্ত হলেও আইনজীবিদের ক্ষোভের কারনে তা চালু করা যায় নি।এবার সেই মহকুমা আদালত চালু করার জন্য সচেষ্ট প্রশাসন।
আদালত স্থানান্তরিত করার প্রতিবাদেই এবার কর্মবিরতিতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ও দায়রা আদালতের আইনজীবীরা। এনিয়ে বার অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, জেলা আদালত থেকে মহকুমা আদালত ভাগ হলে একদিকে যেমন যাতায়াত সমস্যায় ভুগতে হবে আইনজীবিদের,তেমনই বিপাকে পড়তে হবে বিচার প্রার্থীদেরও।তাই অবিলম্বে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে চলতি সপ্তাহের সোমবার থেকেই তিনদিনের কর্মবিরতী চালাচ্ছে আইনজীবিরা।
আরও পড়ুনঃ কাকদ্বীপ আদালতে ফের কর্মবিরতি আইনজীবীদের
দাবিপুরন না হলে তারা যে আন্দোলন চালিয়ে যাবে এমনটাই দাবি বার অ্যাসোসিয়েশনের।
প্রসঙ্গত, জেলা আদালতগুলির চাপ কমাতে আগেই জমি জমা সংক্রান্ত মামলার সুনানির জন্য হাইকোর্টে চালু হয়েছে ল্যান্ড ট্রাইবুনাল।এরকম বেশকিছু ক্ষেত্রে বদল আনা হয়েছে।আইনজীবিদের দাবি এই সব সিদ্ধান্তে আখেরে বিপাকে পড়েছে বিচারপ্রার্থীরা।
অন্যদিকে জেলায় ইতিপূর্বেই গড়বেতা ও দাঁতনে এসিজএম আদালত চালু হয়েছে।আইনজীবী মহলের দাবি,আগে কোনো বেল অডার হলে অভিযুক্তর জামিনে ছাড়া পেতে সময় লাগতো একদিন।
সেখানে বর্তমানে এসিজএম আদালতের ক্ষেত্রে অভিযুক্ত জামিন পাওয়ার পরেও তার ছাড়া পেতে সময় লাগছে তিন থেকে চারদিন।এতে একদিকে যেমন বাড়ছে ভোগান্তি তেমনই ব্যাপক ব্যায় বহুল হচ্ছে জামিনে ছাড় পাওয়ার প্রক্রিয়া।তাই এসিজেএম আদালতও বাতিলের দাবি জানিয়েছে বার অ্যাসোসিয়েশন।
বুধবার ফের মিটিং এ বসতে চলেছে বার অ্যাসোসিয়েশন।সেখানেই আন্দোলন নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গৃহিত হবে।
তবে এই আন্দোলনে একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বহু মামলা।তেমনই চরম ভোগান্তিতে দুরদূরান্ত থেকে আসা বিচারপ্রার্থীরা। আদালত চত্বরে সব দোকানপাঠও বন্ধ রেখেছে দোকানদারেরা।আর এতেই ভোগান্তি আরও বেড়েছে।পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হয় সেদিকেই নজর সকলের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584