নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর গ্রামীণের প্রত্যন্ত গ্রাম বালিয়ার বাসিন্দা রামু টুডু।তার দুই ছেলে মঙ্গল টুডু ও মনা টুডু।মঙ্গল উচ্চ মাধ্যমিক (কলা বিভাগ)উত্তীর্ণ, তার প্রাপ্ত নাম্বার ৪২২ (৮৪.৪০%) আর মনা মাধ্যমিক উত্তীর্ণ,তার প্রাপ্ত নাম্বার ৩৮৭ (৫৫.২৮%)।
এই বছর খড়্গপুরের তালবাগিচা হাই স্কুল থেকে একজন মাধ্যমিক ও একজন উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়েছে।পিতা রামু টুডু ও মা ফুলমণি টুডু।বাবার রাজমিস্ত্রির জোগাড় কর্মী এবং মা গৃহবধূ।কোন রকমের টেনেটুনে চলা সংসারের প্রতিবন্ধকতাকে পিছনে ফেলে দুই ভাইয়ের রেজাল্ট পরিবারের মুখে সাময়িক হাসি ফুটিয়েছে।কিন্তু পরমুহূর্তেই সেই দারিদ্রতার ভয়,পারবে তো দুই সন্তানের পড়াশোনা শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যেতে।
আরও পড়ুনঃ দক্ষিন সুন্দরবনের মাসুমের স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়া
মঙ্গলের ইচ্ছা ভূগোল অনার্স নিয়ে পড়ার এবং এমন কিছু করার যাতে তার পরিবার স্বচ্ছল হয়,সেই সঙ্গে সে সমাজের মানুষের জন্য কিছু করতে চায়।আর মনার ইচ্ছা কলাবিভাগ নিয়ে পড়ার।কিন্তু তারা জানে না তাদের এই স্বপ্ন আদও বাস্তবায়িত হবে কি না।তালবাগিচা হাই স্কুলের শিক্ষক পার্থ প্রতিম দে বলেন, “মঙ্গল ও মনা দুজনেই আমাদের স্কুলের গর্ব ,ওরা সত্যিই খুব পরিশ্রমী এবং ভালো ছেলে,আমরা যতটা সম্ভব ওদের সাহায্য করেছি।ওদের অদম্য ইচ্ছায় ওদেরকে সাফল্যের চুড়ায় পৌঁছে দেবে।”
কিন্তু টুডু দম্পতির কপালে চিন্তার ভাঁজ, কিভাবে লেবারের কাজ করে দুই ছেলের পড়াশোনা চালিয়ে যাবে।ভূগোল অনার্স সে তো অনেক খরচ।চারজনের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা।এত টাকা কিভাবে কোথায় পাবেন তাও তারা জানেন না।টুডু দম্পতি বলেন,”যত কষ্টই হোক ছেলেদের পড়া বন্ধ করব না, তারপর জানিনা কি হবে।”
ছেলেরা বড় হয়ে পরিবারের দারিদ্রতা দূর করে পরিবারকে স্বচ্ছল করবে -এই আশায় দিন গুনছেন টুডু দম্পতি।
যদি কোন সহৃদয় ব্যক্তি বা সংস্থা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে হয়ত এই ছেলেগুলোর মাঝপথে পড়াশোনা বন্ধ হবে না বা তারা তাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে পারবে।
পড়ুয়াদের সাহায্যার্থে ইচ্ছুক ব্যক্তি/সংগঠন পরিবার সূত্রে দেওয়া নিম্নলিখিত অ্যাকাউন্ট নম্বরে সাহায্য পাঠাতে পারেন অথবা নিউজফ্রন্টের সাথে⌈ যোগাযোগ করতে পারেন।
অ্যাকাউন্ট নঃ ৪১৮৯১০৫১০০০০৩৭১(ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া,তালবাগিচা)
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584