শিবশংকর চ্যাটার্জ্জী, দক্ষিন দিনাজপুরঃ
কোলকাতা বা শিলিগুড়ি পার হয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে গাড়ি থেকেই এক সময় শোনা যেত তাঁতের ঠক ঠকানী শব্দ।কিন্তু হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা দিন বাকি পুজোর।সেই ব্যস্ততা এখন নেই জেলার গঙ্গারামপুর, ঠেংগাপাড়া,বোরডাংগী সহ জেলার তাঁতিদের মধ্যে।বাঙালির ঘরের মেয়ে উমার আগমনী বার্তার সাথে সাথে নতুন জামা কাপর কিনতে আগ্রহী আট থেকে আশি সকলেই।
বাংলার ঘরের মেয়েরাও তাদের পছন্দের শাড়িটা কিনতে ছুটছে দোকানে কিন্তু যাদের হাতে তৈরী এই শাড়ি সেই সব তাঁতি ভাইয়েদের অবস্থা এখন কেমন খোঁজ নিয়েছিলাম আমরা।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের তাঁতের শাড়ির বাংলা জুড়েই প্রসিদ্ধ।
আরও পড়ুনঃ জাতীয় পুষ্টিকরণ সপ্তাহ উদযাপন
রাজ্য সরকার করে দিয়েছে তাঁতের হাব। কিন্তু সেখান থেকে কোন রকম সাহায্য না পেয়ে ও বাংলাদেশের শাড়ির চাপে ধুঁকতে শুরু করেছে।গঙ্গারামপুর, ঠাঙ্গাপাড়া,বোড়ডাংগী এলাকায় আগে যখন এই সময় থাকত চরম ব্যস্ততা।কিন্তু বাংলাদেশী শাড়ির চাপে বন্ধ হয়েছে অনেক তাঁত কল।
নিষ্প্রভ হয়ে পরেছে পুনর্ভবার দুই পারের তাঁত কলগুলি।নিজ পেশা ছেড়ে অনেকে অন্য রাজ্যে পারি দিচ্ছে।সঠিক সরকারি সাহায্য পেলে শতাব্দী প্রাচীন এই শিল্প বেঁচে যায়।এই তাঁতিরা কি পাবে সাহায্য বাঁচবে কি বাংলার শিল্প এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584