সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
উৎকর্ষ বাংলা।যা উজ্জীবিত করার প্রবনতা জাগানোর প্রত্যাশা দিয়েছিলেন রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী ।সেই উৎকর্ষ বাংলা আজ কোথায়? বেকার যুবক যুবতিদের আজ কি হাল হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী সাধের প্রকল্পে।বেকাররা মুখ ফেরাচ্ছেন অনেকে।কারন প্রশিক্ষন শেষ হলেও আজও পরীক্ষা সঙ্গে এককালিন ভাতা সঙ্গে সার্টিফিকেট পাচ্ছেনা অনেকে।
তার জেরে অনিশ্চিত উৎকর্ষ বাংলার বেকার যুবক যুবতিদের ভবিষ্যৎ। ডায়মন্ড হারবার দু’নম্বর ব্লকের ভাধুরায় সংগঠিত দাজেল প্রশিক্ষন কেন্দ্রটি উৎকর্ষ বাংলায় প্রশ্ন চিহ্নের মুখে পরেছে।২০১৬ সালে রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী অনুপ্রেরণায় বেকার যুবক যুবতীদের জন্য একটি প্রকল্প চালু হয়।
যার নাম উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্প।পশ্চিমবঙ্গ সোসাইটি ফর স্কিল ডেভলপমেন্ট (পিবিএসএসডি) অধীনে ‘উৎকর্ষ বাংলা’ নামক এই প্রকল্প চালু করা হয়।
উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্প এর অধীনে বেকার যুবক যুবতীদের বিনামূল্যে কর্মপযোগী দক্ষতার প্রশিক্ষণ দিয়ে বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেবে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুনঃ মাথাভাঙ্গায় টোটো চালকদের প্রশিক্ষণ পুলিশ প্রশাসনের
স্কুলের পড়াশুনো শেষ করে বেকারদের নিখরচায় বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করার জন্য রাজ্য সরকারের দ্বারা এই প্রকল্প চালু করা হয়।এবার উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের ভবিষৎ নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলায়।২০১৯ সালে মার্চ মাসে ডায়মন্ড হারবার দু’নম্বর ব্লকে দাজেল প্রশিক্ষন কেন্দ্রে শুরু হয় উৎকর্ষ বাংলার কর্মসূচি।
প্রথম ব্যাচে ৯০ জন মহিলারা প্রশিক্ষন নিতে আসে।দাজেল প্রশিক্ষন কেন্দ্রে দু’ধরনের প্রশিক্ষন দেওয়া হয়।মেকাপ আর্টিস্ট অন্যটি ট্রেলারিং।ট্রেলারিং এর মধ্যে রয়েছে স্টিচ প্রশিক্ষন।এই প্রকল্পের শর্ত তিন মাস বিনা মূল্য পাবে প্রশিক্ষন।
প্রতিদিন দু’ঘন্টা করে হবে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষন।তিনমাস পর হবে পরীক্ষা ।পরীক্ষার শেষে সাটিফিকেট সঙ্গে ৩৯ দিনের প্রত্যকদিন ৫০ টাকা করে মোট দেওয়া হবে ১৯৫০ টাকা।তবে প্রত্যেকের তিন মাসে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ উপস্থিত থাকতে হবে।
কিন্তু এই প্রকল্প বাক হয়ে দাঁড়াই বেকার ছেলে মেয়েদের কাছে।ডায়মন্ড হারবার দু’নম্বর ব্লকে ভাদুড়ার অভিষেক ভিলাই দাজেল প্রশিক্ষন কেন্দ্রে উৎকর্ষ বাংলা দ্বিতীয় ব্যাচ শুরু হলেও আজও প্রথম ব্যাচের পরীক্ষা করাতে পাড়েনি দাজেল প্রশিক্ষন কেন্দ্রের কর্মকর্তারা।
ফলে উৎকর্ষ বাংলা নিয়ে সংসয় বেঁধেছে ডায়মন্ড হারবার দু’নম্বর ব্লকের আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে আসা মেয়েদের মধ্যে।দ্বিতীয় ব্যাচে রয়েছে ২৪০ জন ছাত্রী। পরিকাঠামো সুব্যবস্থা থাকলেও সরকারী পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে সবার মধ্যে।
ছাত্রীদের অভিযোগ প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষন নিয়ে কোন ত্রুটি নেয়।কিন্তু সংসয় তৈরী হয়েছে পরীক্ষা নিয়ে।সঙ্গে টাকা পাওয়া ঘিরে।ফলে এই জেলায় উৎকর্ষ ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
অভিযোগকারীদের আরো দাবি নির্দিষ্ট কোন বাজার নেই ফলে উৎপাদিত ট্রেলারিং সামগ্রি কোথায় বিকিকিনি করবে তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন উঠছে।
যদিও সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন ডায়মন্ড হারবার দু’নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কালিপদ প্রামানিক।তবে প্রকল্প শুরুতেই যদি এমন হোচট খেতে হয়।তাহলে বেকার যুবক যুবতিদের চোখে মুখে যে স্বপ্ন দেখান তার কি হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584