মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তৃণমূল কর্মীকে গুলি করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। গুলিবিদ্ধ ওই তৃণমূল কর্মীর নাম সুশীল বর্মণ। ওই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙ্গা ১ নং ব্লকের নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার খাগড়িবাড়ি গ্রামে।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ। পরে আহত ওই তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে থেকে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় কোচবিহার সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হলে শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রাতে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই ঘটনার পর সুশীল বর্মণের স্ত্রী রত্না বর্মন ২০ জনের নামের মাথাভাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে বিজেপির একজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তৃনমূলের অভিযোগ, গতকাল রাজ্যের তিনটি উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর নয়ারহাটে বিজয় মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজয় উল্লাসের পর সমস্ত তৃণমূল কর্মীরা বাড়িতে পৌঁছে যায়। তারপর রাত ১২টা নাগাদ বিজেপি আশ্রিত বেশ কিছু দুষ্কৃতী মাথাভাঙা ১নং ব্লকের নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার খাগড়িবাড়ি গ্রামের তৃণমূলের ডাকসাইটে নেতা সুশীল বর্মনকে গভীররাতে ঘুম থেকে ডেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে এবং তাকে গুলি করে বলে অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
তৃণমূল নেতা গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় কোচবিহার জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, গতকাল রাজ্যের তিনটি উপনির্বাচনে তৃণমূল জয় লাভ করেন। সেই কারনে মাথাভাঙ্গার নয়ারহাট এলাকায় মিছিল করে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। তারপর রাতে গিয়ে আমাদের দলের নেতা সুশীল বর্মনকে গুলি করা হয়েছে ঘটনার কথা শুনেছি। আমাদের ওই নেতা এখন শিলিগুড়িতে ভর্তি আছেন। এটা বিজেপির কাজ। কারন তাদের পায়ের তলার মাটি ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ বিজেপি কি জিনিস সেটা বুঝে গেছে। তৃনমূলের ওই মিছিল দেখে বিজেপি ভয় পেয়ে গেছে। তাই তারা এলাকায় সন্ত্রাস চালিয়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে। আমরা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। ঘটনার তদন্ত করে পুলিশ প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করুক।
এবিষয়ে কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতি রাভা বলেন, পঞ্চায়েত সদস্যদের অপহরন করে তৃনমূলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার জন্য মাথাভাঙ্গা ১ নং ব্লকের নয়ারহাটে গোলমাল হয়েছে। উপনির্বাচনে জয়লাভের পরে মাথাভাঙ্গা সহ গোটা কোচবিহার জেলায় সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করছে তৃণমূল। তার ফলে ওই ঝামলার সৃষ্টি হয়। পুলিশকে ব্যবহার করে আমাদের বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584