পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ
যখন সরকারী উদ্যোগে চারিদিকে “গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান” নিয়ে রাজনৈতিক নেতারা নানান বকুনি দিচ্ছেন,
তখন দেখা যাচ্ছে উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়ে বহু জায়গায় গাছগুলিকে কেটে সবুজ পরিবেশ ধ্বংস করে চলছে বহু দুষ্কৃতীরা।
একসময় জেলার কালিয়াগঞ্জ,রায়গঞ্জ চাকুলিয়া ও গোয়ালপোখর সহ বহু এলাকায় সারি সারি রাস্তার ধারে বহু সরকারী গাছ ছিল।কিন্তু বর্তমানে কিছু চোরা কারবারিরা এলাকার রাস্তার ধারে সরকারি গাছগুলিকে কেটে সবুজ পরিবেশ ধ্বংস করে চলছে।অভিযোগ,কাঠ চোরদের পেছনে রয়েছে এলাকার রাজনৈতিক নেতাদের প্রচ্ছন্ন মদত।
আরও পড়ুনঃ রাস্তা সম্প্রসারণের নামে অনুমতিহীন বৃক্ষচ্ছেদনের অভিযোগ
এক সময় কালিয়াগঞ্জ, রায়গঞ্জ চাকুলিয়া থেকে রামপুর,কানকি,গন্ডাল, ধরমপুর,গোয়াগাঁও এলাকায় রাস্তার দুধারে ছিল অসংখ্য গাছ।এখন চোরা কারবারীদের সৌজন্যে সেই সব গাছ ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথে।দিনের পর দিন গাছের প্রাণ কেড়ে নেওয়ায় এলাকাজুড়ে রাস্তা ফাঁকা হয়ে গিয়েছে।এলাকার চোরাই কাঠের কারবারিরা রাতের অন্ধকারে রাস্তার গাছ কেটে কাঠমিল মালিকদের কাছে বিক্রি করে চলছে।কাঠমিল মালিকরা সেই গাছগুলিকে মিলে চিরে প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।
বন দপ্তরের আধিকারিকদের চরম উদাসীনতায় দুষ্কৃতীরা সুযোগ পাচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় কিছু মানুষ জানান কখনও দিনের বেলায়,আবার কখনও গভীর রাতে একের পর এক গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে।এলাকার তাবড়-তাবড় নেতারাই বর্তমানে এই চোরা কারবারের সাথে যুক্ত রয়েছে।এই বিষয়ে বন দপ্তরের আধিকারিকরা জানান গাছ কাটার বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর।তবে একটি গাছ লাগানোর পর আমাদের দাযিত্ব থাকে তিন বছর।
বাকি দেখাশোনার দাযিত্বে থাকেন স্থানীয় স্তরের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান,সভাপতি ও বিডিও । তাই এই বিষয়ে তারা বেশি ভালো জানবেন।তবে এই ভাবে ধীরে ধীরে কিছু মানুষ যদি নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য গাছ কেটে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হলে ধীরে ধীরে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয় এ যাবে একথা কি জানেন না চোরাই কারবারিদের সাহায্যকারীরা?
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584