রিচা দত্ত,মুর্শিদাবাদঃ
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আজ মুর্শিদাবাদের সাটুই-এ জেলাশাসকের অনুমতিতে ভাগীরথীর অফিসার ইনচার্জ সুকান্ত সাহা,ফুড সেফটি অফিসার বিশ্বজিৎ মান্না,সদর মহকুমা শাসক দীপাঞ্জন মুখোপাধ্যায়,স্বাস্থ্য দফতরের দুজন আধিকারিক,বহরমপুর থানার পুলিশ সকালে দুগ্ধ কারবারের জায়গা রয়েছে সেখানে রেড করেন।সেখানে জটায়ু ঘোষ নামক এক দুধ ব্যবসায়ীর বাড়িতে রেড করে বাজারজাতর জন্য প্রস্তুত করা দুধ ওনারা বাজেয়াপ্ত করেন।এই মুহূর্তে জটায়ু ঘোষ পলাতক। যে সমস্ত কর্মচারীরা রয়েছেন তাদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করে ফুড সেফটি স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার কোন রকম লাইসেন্স ওনারা পাননি।বহু বছর ধরে উনি এই ব্যবসা করছেন।জানা গেছে যে তাতে ভেজাল মিশিয়ে তিনি বাজারজাত করে তুলতেন।সেখানে হানা দেওয়ার পর উনারা যে বিষয়টা লক্ষ্য করেছেন, যে স্থানটিতে দুগ্ধ প্রস্তুত করা হয় বাজারজাত করার জন্য সেটা যথেষ্ট অস্বাস্থ্যকর,কোন বিশেষজ্ঞ নেই যিনি পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেন,এমনকি যে সমস্ত কর্মচারীরা রয়েছেন তাদের নেই কোন অ্যাপ্রন,টুপি , হাতে পরার গ্লাভস।যে জলটা তারা ব্যবহার করেন সেই জল টাও অপরিশোধিত।সেই জল পরীক্ষা করার জন্য তার নমুনা নেওয়া হয়েছে।দুগ্ধ শীতল করার জন্য যে যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে তা অত্যন্ত নিম্নমানের অবিজ্ঞানসম্মত। বাজাজাত হিসাবে করা দুধ বাজেয়াপ্ত করে এবং জল ও দুধ সবকিছু এবং যে কেমিক্যাল তারা ব্যবহার করতেন এবং গ্লুকোজ যা পেয়েছেন সবকিছু তারা সিজ্ করেছেন।টেস্ট করার জন্য সমস্তটা কলকাতায় পাঠানো হয়েছে।রিপোর্টে আসার পর সব বিষয়ে তদন্ত করবেন।পাশাপাশি সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে যে দুগ্ধ তারা প্রস্তুত করতেন সেটি ট্যাঙ্কারে করে কলকাতার কোন একটা কোম্পানিকে পাঠানো হতো।সে বিষয়ে তদন্ত করবেন এবং রিপোর্ট এলে পরে সে বিষয়ক একটি পদক্ষেপ নেবেন এমনই পরিকল্পনা জেলা প্রশাসনের।
আরও পড়ুনঃ ফেথাইয়ের পূর্বাভাসে জারি হাই অ্যালার্ট
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584