নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
মহিলাদের জন্য সব থেকে অনিরাপদ রাষ্ট্রের তালিকায় ভারত সর্বোচ্চ স্থান পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সরকার ভারতে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া ব্যক্তিদের জন্য একটি বিস্তারিত তথ্যপত্র জারি করেছে।
ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক নাগরিকদের জন্য দেওয়া পরামর্শটি সম্প্রতি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পুলিশি রেকর্ড বাধ্যতামূলক করতে হবে।
তারা আরও জানিয়েছে, নির্যাতিতদের পক্ষে পুলিশের কাছে পেশ করা রিপোর্ট ইংরেজিতে লেখা বাধ্যতামূলক নয়, তবে পুলিশের পক্ষ থেকে অনুবাদ করার পর, অভিযোগকারী সম্পূর্ণ স্বাক্ষর করার আগে, তার সামনে ইংরেজিতে বিবৃতিটি পড়া এবং ব্যাখ্যা করা হবে।
আরও পড়ুনঃ একবছরে প্রায় সেঞ্চুরি করা উন্নাও এখন ‘ধর্ষণের রাজধানী’
এটি উল্লেখ করে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের (ইউসিএল) একজন অধ্যাপক কার্তিকেয় ত্রিপাঠি বলেছিলেন যে দুর্ভাগ্যজনক ক্ষেত্রে ভারতে এসে কোনও ব্রিটিশ নাগরিক যৌন হয়রানির শিকার হলে, পরামর্শদাতা তাদের অধিকার সম্পর্কে বলেন এবং এই পরিস্থিতি থেকে কিভাবে তাদের মুক্তি দেওয়া যায়, তার প্রতি আইনি পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।
একজন মহিলা পুলিশ কর্মকর্তাও এরকম পরিস্থিতিতে উপস্থিত থাকে যা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। পাশাপাশি ভারতীয় নাগরিকদের যৌন হয়রানির শিকার হতে হলে তাদের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলিকে এতটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না।
আরও পড়ুনঃ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু বিজেপির জেলা সভাপতির
এছাড়াও, ইউএস সরকারের ভারত ভ্রমণ পরামর্শদাতা ২০১৯ এর মার্চে দ্বিতীয় স্তরের সুরক্ষা ব্যবস্থা জারি করেছিল যা ভ্রমণকারীদের ‘বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন’ করার পরামর্শ দেয়। এতে আরও বলা হয়েছে যে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ধর্ষণকে ভারতে ক্রমবর্ধমান অপরাধ হিসাবে গণ্য করে। পাশাপাশি যৌন নির্যাতনের মতো সহিংস অপরাধকে তীব্র অন্যায়ের চোখে দেখে।
পরামর্শদাতা সমস্ত নিয়মাবলী বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেছে এবং মহিলাদের ভারত সফর করার সময় তাদের সামগ্রিকভাবে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584