পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ
গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গ্রীষ্মকালীন সবজির ক্রয়মূল্য।উত্তাপ সহ্য করে বাজার করতে গিয়ে ছ্যাঁকা খাচ্ছে আমজনতা।
উল্লেখ্য,লোকসভা ভোট শেষ হতে না হতেই রায়গঞ্জ কলিয়াগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে কাঁচা সব্জির দাম আচমকাই কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত পরিবারের পকেটে টান পড়তে শুরু করেছে।
হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধিতে বুঝেশুনে বাজার করতে হচ্ছে।
উত্তর দিনাজপুর জেলার দৈনিক বাজারের বিক্রেতারা জানিয়েছেন,এতে বিক্রিবাটা কম গিয়েছে।জেলার বিভিন্ন বাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, কমবেশি অধিকাংশ সব্জিই কেজি প্রতি পাঁচ থেকে সাত টাকা করে বেড়েছে।
আরও পড়ুনঃ রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সবজি পরিবহনের সুবিধার্থে কৃষকদের ভ্যান বিতরণ
কাঁচা সব্জি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভোটের কারণে মালবাহী গাড়ি কম চলার জন্য বাজারে এই প্রভাব পড়েছে।মহারাষ্ট্রের নাসিক বা উত্তরবঙ্গের কোচবিহার কিংবা দেশের অন্যপ্রান্ত থেকে আসা পেঁয়াজ,আদা,বেগুন, ফুলকপি সহ অন্যান্য কাঁচাপণ্য কম আসাতেই এই দামের হেরফের হচ্ছে।
ক্রেতারা বলেন,কিছুদিন আগে আলু কেজি প্রতি ৮ টাকা থাকলেও এখন তা বেড়ে ১০-১২ টাকা হয়েছে। একইভাবে অন্য সব্জির দামও বেড়েছে।স্বাভাবিকভাবেই বাজারে গিয়ে সংযতভাবে কাঁচা সব্জি কিনতে হচ্ছে বাধ্য হয়ে হচ্ছে।গত এক সপ্তাহের মধ্যেই এই দামের তারতম্য হয়েছে।ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রতিবার লোকসভা ভোটের সময়ে এমনটা হয়।
বাজারে আসা বেসরকারি কর্মকর্তা রনি রায় বলেন, সপ্তাহ খানিকের ব্যবধানে দাম এতটা বাড়া যুক্তিহীন।তাছাড়া দাম যে হারে বাড়ে আমাদের আয় তো সে হারে বাড়ে না। ফলে এটি খুবই যন্ত্রণার। এখন এ দাম কবে কমবে তারও কোনো ঠিক নেই।
বাজারঘুরে দেখা যায়,মান ও আকার ভেদে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা।এছাড়া প্রতি কেজি ঝিঙ্গে ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, সিম ৫০,টমেটো ৩০-৪০ টাকা, কাঁচা লঙ্কা ৫০-৬০ টাকা,আদা ১৪০ টাকা, রসুন ১০০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০টাকা,খাসির মাংস ৬০০টাকা,পোল্ট্রি মুরগি মাংস ১৯০-২০০ টাকা,মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০ টাকায় কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে।
কালিয়াগঞ্জের মহেন্দ্রগঞ্জ বাজারে সবজি বিক্রেতা মধু সরকার জানান,মৌসুমের সবজি এখনো পুরোপুরি আসা শুরু করেনি।যে গুলো আসছে তা আগাম চাষ করা সবজি ফলে দামও বেড়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584