নিজস্ব সংবাদদাতা,কোচবিহারঃ
তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত মাথাভাঙা ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি জীতেন বর্মণকে কার্যত প্রানে মারার দিয়ে পোস্টার পড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ঘুম থেকে উঠে জিতেন বাবু তাঁর নিজের বাড়ির দেওয়ালে এই হুমকি পোস্টার দেখতে পান।সেখানে লেখা ছিল “সাবধান হয়ে যা,১২ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি এর মধ্যে নিজেকে শুধরে নে নাহলে বিপদে পড়বি।” একই সাথে ওই পোস্টারে আরও লেখা রয়েছে, “জীতেন তুমি বীরের পেছন থেকে সড়ে যাও নাহলে বিপদ হবে, নিজে বাঁচো তারপর মানুষকে বাঁচাও।”
এই চিঠি দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। জীতেনবাবুর বাড়ি মাথাভাঙার আঙ্গারকাটা পাড়াডুবি গ্রাম পঞ্চায়েতের গোডাউন হাট এলাকায়।পরে ঘোকসারডাঙ্গা থানার পুলিশ জীতেনবাবুর বাড়ি গিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় ওই এলাকায়। জীতেনবাবুর অভিযোগ,এটা বিজেপির কাজ। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জয়লাভের পর থেকেই তাকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেন জিতেনবাবু।
আরও পড়ুনঃ মাওবাদীদের রেজিস্ট্রি হুমকি চিঠি ঘিরে জল্পনা
তিনি জানান তাঁর বাড়ির পাশে বাজার এলাকায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক নেতা বীরভদ্র কম্পিউটার সেন্টার তৈরি করে ব্যাবসা করছিলো।বীরভদ্র মাথাভাঙা আইটিআই কলেজের ছাত্র সংসদের সম্পাদক।বিজেপির জয়ের পর সেই সেন্টারে হামলা চালানো হয়।এই ঘটনার পর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আমি দোকানে বিজেপি কর্মীদের নাম বলে দেই।সেই ঘটনার জেরেই এই হুমকি পোস্টার বলে দাবি তাঁর।
তবে তিনি জানান ওই হুমকি পোস্টারে তিনি সামান্য বিচলিত নন।ঘটনাটি দলের উচ্চতর নেতৃত্বকেও জানিয়েছেন বলে জানান জিতেন বাবু।
এদিকে ওই ঘটনা নিয়ে বিজেপি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এমন পোস্টার পড়তে পারে।অথবা নিজেই এমন ওই পোস্টার সেটে বিজেপিকে বদনাম করার চেষ্টা করছে এমন পাল্টা অভিযোগ করে বিজেপি নেতৃত্ব।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584