নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
শালবনি ব্লকের লোধা অধ্যুষিত পীরচক গ্রাম এবং ভূমিজ অধ্যুষিত বুড়িশোল গ্রামে মানবিকতার এক অপূর্ব মেলবন্ধন গড়ে উঠেছিল রবিবার।
কিছু সহৃদয় মানুষের এই আন্তরিক প্রয়াসে, পীরচকের লোধা শবর ছেলেমেয়েরা যেন খুঁজে পেল শীতের উষ্ণতা!
বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজের অধ্যাপিকা পারমিতা রায় এই লোধা শবর অধ্যুষিত গ্রামের ছেলে-মেয়েগুলির জন্য সুদূর বাঁকুড়া থেকে শীতবস্ত্র ও ফলমূল সহযোগে জলযোগের উপকরণ নিয়ে সকাল-সকাল, নিজের মা’কে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন! সম্প্রতি যে গ্রামখানি, লোধা শবর সমাজের মৃণাল কোটালের উদ্যোগে এবং শালবনি ব্লক ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায়, উত্তরণের পথে এগিয়ে চলেছে।
আরও পড়ুনঃ অসমে স্বাভাবিক ইন্টারনেট-ফোন পরিষেবা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালুর সম্ভাবনা ২৩ তারিখ
ছেলে-মেয়ে গুলির পড়াশোনার জন্য আন্তরিকভাবে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, বিদ্যাসাগর ফাউন্ডেশনের প্রবীর কুমার লায়েক। সেই গ্রামেই গতকাল, একটা সুন্দর সকাল কাটিয়ে এলেন বাঁকুড়ার পারমিতা রায়।
পীরচকেরই কাছাকাছি অন্য একটি গ্রাম বুড়িশোল। এটিও শালবনি ব্লকের ভাদুতলার একেবারে কাছেই, রাজ্য সড়কের ওপরে অবস্থিত একটি গ্রাম।
আরও পড়ুনঃ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি কংগ্রেস আলিপুরদুয়ার কলেজে
গ্রামটিতে মূলত, ভূমিজ উপজাতির ভূঁইয়া পরিবারের বসবাস। এই গ্রামের প্রায় একশ’টি পরিবারের ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে কিংবা বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, কোন মানুষকে দেখলেই মনে হবেনা, গ্রামটি মেদিনীপুর শহর থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটারের মধ্যে!
এই গ্রামে গতকাল কিছু শীতবস্ত্র, কম্বল, ফল ও ফলের চারাগাছ নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও সরকারি কর্মী প্রতাপ বিশ্বাস, শিক্ষিকা শিবানী পাল, সাংবাদিক নবীন কুমার ঘোষ, শিক্ষক ও সাংবাদিক মণিরাজ ঘোষ ও তাঁর পত্নী শিক্ষিকা অমৃতা ঘোষ এবং সমাজকর্মী সোমনাথ মাহাতো ও সুদীপ কোলে। দু’জায়গাতেই উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক ও সমাজসেবী প্রবীর কুমার লায়েক ও তাঁর পত্নী রূপসী লায়েক।
সর্বোপরি, দু’জায়গাতেই উপস্থিত থেকে এই মানবিক কর্মসূচিগুলি’কে সুন্দরভাবে রূপায়ণ করতে যিনি সহযোগিতা করেছিলেন, তিনি ‘লোধা শবর সমাজ’ এর রাজ্য সভাপতি তথা প্রয়াত চুনি কোটালের ভাইপো মৃণাল কোটাল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584