সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ
মাত্র ১৩ বছরের কিশোরী, দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতালে ব্রেন ডেথ হয় মধুস্মিতা বায়েনের। তারপরেই পরিবারের তরফে মরণোত্তর অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দেড় বছর বয়স থেকেই অসুস্থ মধুস্মিতা । গত ১২ নভেম্বর আকস্মিক শারীরিক অবনতি হলে দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মধুস্মিতাকে । কিন্তু ১৬ নভেম্বর ব্রেন ডেথ হয় ওই কিশোরীর। এরপর মরণোত্তর অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত হলে যোগাযোগ করা হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে।
রবিবার সন্ধে ৭:২০ মিনিটে দুর্গাপুর থেকে রওনা হয়ে ১৭০ কিমি পথ গ্রিন করিডরের মাধ্যমে পেরিয়ে, রাত ৯:৪০ মিনিটে এসএসকেএম এসে পৌঁছয় মধুস্মিতার লিভার, দু’টি কিডনি এবং কর্নিয়া।
মধুস্মিতার কিডনির দুই জন গ্রহীতা হলেন দমদমের ২০ বছরের তরুণ অভিষেক মিশ্র এবং নদিয়ার ২৩ বছরের যুবক মিঠুন দালাল। ব্যারাকপুরের সঞ্জীব বালা পাচ্ছেন মধুস্মিতার লিভার।
দুর্গাপুরের এই কিশোরীর অঙ্গ আনার জন্যই রাজ্যে নির্মিত হল ১৭০ কিলোমিটারের দীর্ঘতম গ্রিন করিডর । দুর্গাপুর থেকে বুদবুদ পর্যন্ত ২৭০ জন পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হয় যাতে গ্রিন করিডর দিয়ে সুষ্ঠুভাবে পৌঁছাতে পারে ওই কিশোরীর অঙ্গ।
রাজ্যের অঙ্গদানের ইতিহাসে মধুস্মিতাই এখনও পর্যন্ত কনিষ্ঠতম সদস্য।
আরও পড়ুনঃ চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ শাসকদলের পঞ্চায়েত সভাপতির বিরুদ্ধে
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584