সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
আবারও স্কুলে চুরির ঘটনা।পরপর দুটি স্কুলে চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য। ঘটনার খবর পেয়ে পেয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে এসে পুলিশি বাধার সম্মুখীন সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা।
ঘটনাস্থল উস্থি থানার হটুগঞ্জ।পাশাপাশি দুটি স্কুলে একই সাথে এই চুরির ঘটনা ঘটে।ঘটনার প্রকাশ এই যে,একটি স্কুলে সকাল হতেই আসে আই সি ডি এস কর্মীরা।
অন্য স্কুলে আসেন স্কুলের এক অস্থায়ী কর্মী।এসেই দেখেন স্কুলের গেটে তালা ভাঙা।খবর দেওয়া হয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষিকাকে।
উস্তি থানার হটুগঞ্জ মহারাজা নরেন্দ্রকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয় এবং তার পাশে হটুগঞ্জ উচ্চ মাধ্যামিক বালিকা বিদ্যালয়ে।দুটি স্কুলের কোনটিতেই নেই কোন রাত প্রহরার ব্যবস্থা।
প্রতিদিন স্কুল ছুটির পর স্কুল বন্ধ করে যে যার মতো চলে যায়।হটুগঞ্জ মহারাজা নরেন্দ্রকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ে আই সি ডি এস সেন্টার চলে। আজ সকালে আই সি ডি এস কর্মীরা এসে দেখেন স্কুলের অফিস রুমে ঢোকার জন্য যে গেট তার তালা ভাঙা।
তারা খবর দেয় স্কুলের এক অশিক্ষক কর্মীর কাছে তিনি এসে দেখেন অফিস রুমের দরজার তালা ভাঙা ভিতরে আলমারিগুলির সব দরজা খোলা কাগজপত্র চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে।
নেই স্কুলের ঘন্টা।আর কি খোয়া গেছে জানা যায় নি।অপরদিকে,হটুগঞ্জ উচ্চ মাধ্যামিক বালিকা বিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মী জানান স্কুলে আমি প্রতিদিন রাত ১২ টা পর্যন্ত থাকি তারপর চলে যাই।সকালে আবার স্কুলে আসি আজ সকালে এসে দেখি অফিসরুম সহ বিভিন্ন গেট ও দরজার তালা ভাঙা আমি হেড দিদিকে খবর দিয়েছি। এখন কী চুরি গিয়েছে কিছু বুঝতে পারছি না সমস্ত আলমারির তালা ভাঙা ও ঘন্টা নিয়ে চলে গিয়েছে।
আর এই চুরির ঘটনার খবরসংগ্রহ করতে এসে অপদস্থ হন সাংবাদিকরা।উস্থি থানার পুলিশ নিজেই খবর করতে বাধা দেন।পর পর বিদ্যালয়ের চুরির ঘটনায় নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার এই প্রয়াসে কি দুষ্কৃতিরা অক্সিজেন পেয়ে যাবে না,পুলিশের এমন কাজে।ঘটনার পর তদন্ত শুরু হয়েছে ঠিকই কিন্তু তদন্ত যে কতটা হবে তা নিয়ে সন্দিহান সংশ্লিষ্ট মহল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584