শুভব্রত সরকার, নিউজ ফ্রন্টঃ
সরকারি সাহায্য এবং অনুদান নিতে হলে মানতে হবে সরকার আরোপিত শর্ত। সংখ্যালঘু মর্যাদার নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকবে না কোনো বিভাজন। সংখ্যালঘু ও অসংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাহায্য পাওয়ার অধিকার মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে না এমনই মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের। শুধুমাত্র তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত মাদ্রাসাগুলোয় নিয়োগ সংক্রান্ত মোহাম্মদ রফিক বনাম কন্টাই রহমানিয়া হাই মাদ্রাসা রায়ের প্রসঙ্গ টেনে আনেন বিচারপতিগণ। এই প্রসঙ্গে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিচালন কমিটির হাতে নিয়োগ ক্ষমতা থাকছে না।
প্রিন্সিপাল অভয়ানন্দ ইন্টারন্যাশনাল কলেজ বনাম উত্তরপ্রদেশ সরকার মামলায় গতকাল এমনটাই রায় শোনালো সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৮ সালে ১২ মার্চ ইউপি ইন্টারমিডিয়া এডুকেশন অ্যাক্ট ২০১৮’য় কিছু সংশোধনীর মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের দায়িত্ব নিজের হাতে নেয়। এর ভিত্তিতে সংখ্যালঘু মর্যাদা প্রাপ্ত কলেজ চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী নিয়োগ করে ।উত্তরপ্রদেশ সরকার এই নিয়োগ বাতিল করলে তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা করে ওই পরিচালন সমিতি।
আরও পড়ুনঃ নিট সুপার স্পেশালিটি মামলায় সিলেবাস বদলের কারণ না জানালে কড়া পদক্ষেপঃ সুপ্রিম কোর্ট
হাইকোর্টের রায় পরিচালন সমিতির পক্ষে গেলেও ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় উত্তরপ্রদেশ সরকার। সেই মামলার ঐতিহাসিক রায়দান করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কাউল ও বিচারপতি এম এম সুন্দরএসের ডিভিশন বেঞ্চ।এই রায়ের ফলে সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যে বিশেষ ক্ষমতা ছিল তা খারিজ হয়ে গেল বলাই বাহুল্য ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584