সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
স্থায়ী সহকারী শিক্ষক নেই অথচ বিদ্যালয়ে সমস্ত রকম পরিকাঠামো আছে।আছে ছাত্র ছাত্রী।তবুও শিক্ষকের অভাব বর্তমান। আউশগ্রামের দিগনগর ২ অঞ্চলের অন্তর্গত আদিবাসী অধ্যুষিত লক্ষীগঞ্জ গ্রাম।প্রায় ৪৫০টি পরিবারের বাস এই গ্রামে।পরিবারগুলির অবস্থা নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। জনমজুরি করেই তাঁদের চলে সংসার।এই জায়গায় শিক্ষার প্রসারের জন্য ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়জুনিয়র হাইস্কুল।
লক্ষ্মীগঞ্জ গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে রয়েছে এই স্কুল। অতিথি শিক্ষক দিয়েই এই স্কুলের পঠন-পাঠন শুরু হয়। বছর দুয়েক আগে একজন শিক্ষক অবসর নেন।গত বছর ডিসেম্বর এবং জানুয়ারিতে বাকিরা অবসর নিয়ে নেন।
আরও পড়ুনঃ শিক্ষকের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ছাত্ররা
ফলে বিদ্যালয়ে এখন কোন শিক্ষক নেই।অথচ পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়া সংখ্যা প্রায় ৭০ জন। শুধুমাত্র শিক্ষকের অভাবেই যখন বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যেতে বসেছিল, সেই সময় বিদ্যালয়ের অভিবাবকদের অনুরোধে এলাকার শিক্ষিতরা তুলে নেয় সে ভার।এখন লক্ষ্মীগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা গণেশ টুডু, লক্ষ্মীরাম বাস্কে, সাবিত্রী মণ্ডল ও দুলালি বাস্কে – এই চারজন মিলে স্কুলটি চালাচ্ছেন।সাবিত্রী এমএ পাঠরতা,দুলালি ইংরেজিতে এমএ করে বিএড পড়ছেন।
গণেশ ও লক্ষ্মীরাম দু’জনে স্নাতক। গণেশ,লক্ষ্মীরামরা বলছেন,স্কুল ছুট আটকানো যাচ্ছে না কোনোভাবেই গত এক মাসে প্রায় ১৮ জন স্কুল ছেড়েছে। একে তো স্কুলে সহকারী স্থায়ী শিক্ষক নেই অন্যদিকে স্কুলছুট বাড়।
বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন অভিভাবকরা। আউশগ্রাম ১ চক্রের স্কুল পরিদর্শক অমিত মুখোপাধ্যায় বিষয়টি অবিলম্বে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584