উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় নাম উঠেছে, এমন ব্যক্তিও বিজেপিতে যোগদান করতে চেয়ে আজও ফোন করছেন। শুক্রবার বিজেপির সাংবাদিক সম্মেলনে এমন দাবি করলেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।
তিনি আরও বলেন,’দুহাজার ষোল সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের তালিকায় ছিল সামান্য জন সংখ্যালঘু প্রার্থী, এবার সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে বিয়াল্লিশে। এতেই আরাবুল ইসলাম টিকিট না পেয়ে নিজের দলের পার্টি অফিস ভেঙে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
পরে তিনি আরও বলেন,’মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর থেকে পালিয়ে বাঁচতে চাইছেন নন্দীগ্রামে প্রার্থী হতে চেয়ে। তার কারণ ভবানীপুরে অত্যন্ত সচেতন মানুষ আছেন বলে আসনটি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য দুহাজার এগারো সালে উড়ে গিয়েছিলেন, এবার তিনিও তাই হবেন।’
আরও পড়ুনঃ ক্ষমতায় ফিরলে প্রবীণ বিদায়ী বিধায়কদের জন্য বিধানপরিষদ, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেন,’এর আগে বিধান পরিষদ করতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, হাইকোর্ট তা পরে বাতিল করে দিয়েছে। এখন আবার তাঁর দলের বাদ পড়া বিধায়কদের লোভ দেখাচ্ছেন।’ পরে তিনি আরও বলেন,’বেশ কিছু তৃণমূলের বিধায়ক এবার তৃণমূলের টিকিট পেলেও তারা যে জিতে যাবেন, এটা তারা সুনিশ্চিত নন। তাই আমাদের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করছেন।’
আরও পড়ুনঃ পাঁশকুড়ার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর
শমীক ভট্টাচার্য বলেন,’বামেরা ভাইজানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় অন ক্যামেরায় বলেছেন বামেরা ভোট ধরে রাখতে পারলে তৃণমূলের জয় হবেই। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের নামে মিথ্যা হ্যান্ডবিল ছাপিয়ে বলা হচ্ছে, দাঙ্গা করতে চাইলে বিজেপি নেতাদের ফোন করুন। এরকম লিখে বিজেপির নেতাদের ফোন নম্বর লিখে দেওয়া হচ্ছে। আমরা এর বিরুদ্ধে সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করছি।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584