শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
বিকল কিডনি এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েও করোনা পজিটিভ হয়ে পড়েছিলেন বছর ৬৭-র পাপিয়া বসু। কিন্তু তারপরেও বার বার করোনা নেগেটিভ হয়েও ফের করোনা পজিটিভ হয়েছিলেন তিনি। ফলে টানা ১০৫ দিন ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। তার ফলে হাসপাতালের বিল দাঁড়ায় ৩১ লক্ষ টাকা।
আর এখানে প্রশ্ন তুলেছিলেন ওই প্রৌঢ়ার ছেলে। তার পরিষ্কার দাবি ছিল, তার মা করোনা পজিটিভ হয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি হননি। তারপরেও করোনা পজিটিভ থেকে নেগেটিভ হওয়ার পরেও আবার পজিটিভ হলে তার নৈতিক দায়িত্ব থাকে হাসপাতালেরও। কারণ তিনি দীর্ঘদিন হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন। স্বাস্থ্য কমিশনের নির্দেশে নিজেদের দোষ স্বীকার করে পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ফেরাতে সম্মত হল ঢাকুরিয়ার ওই বেসরকারি হাসপাতাল।
আরও পড়ুনঃ দুর্ঘটনা এড়াতে এবার গার্ডেনরিচ ফ্লাইওভারে ফেন্সিং কেএমডিএ-র
গত ১৪ জুন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মহিলা। ওই মহিলার ছেলে ২৪ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন। প্রৌঢ়ার ছেলে বউমা দুজনেই থাকেন ৭৯৭১ মাইল দূরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে। সেখান থেকে সোমবার অনলাইনে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুনঃ উত্তেজনা এনআরএসে, গার্ডরেল ভাঙার চেষ্টা বিজেপি কর্মীদের
কমিশন চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে প্রৌঢ়ার ছেলের দাবি যুক্তিযুক্ত মনে করেন। আবার ভেন্টিলেশন থেকে করোনা সংক্রমণ হয়েছে এরকম কোনও প্রমাণ না থাকার ফলে হাসপাতাল কেও সম্পূর্ণ দোষী নির্দিষ্ট করা যায় না।
ফলে সব শুনে স্বাস্থ্য কমিশনের তরফে মোট ৫ লক্ষ ৮ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য কমিশন। আপাতত তাঁকে ঢাকুরিয়ার ওই হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ করিয়ে নিয়ে গিয়েছে পরিবার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584