রাস্তার ভবঘুরেদের মুখে অন্ন দিয়ে নজির গড়লেন তিন বন্ধু

0
28

নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ

আমাদের সকলের চেনা গায়ক কিংবদন্তি শিল্পী ভূপেন হাজারিকা তিনি তাঁর গানের ভাষাতে বলে গেছেন, “মানুষ মানুষেরই জন্য, জীবন জীবনেরই জন্য। একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারেনা?” বর্তমান সময়ে মানুষ মানুষের পাশে এসে দাঁড়াতে চাইলেও যেন প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছে নোভেল করোনা ভাইরাস।

help | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

তবে এই ভাইরাসের আতংকের মাঝেও অসহায় দুঃস্থ মানুষদের পাশে এসে দাঁড়ালেন তিন বন্ধু সাংবাদিক জাহাঙ্গীর বাদশা, ব্যবসায়ী সুমন পট্টনায়েক ও শান্তনু পাত্র।

আরও পড়ুনঃ  করোনা প্রতিরোধে মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে আর্থিক দান, রায়গঞ্জের বিধায়কের

ছোটো থেকেই মেচেদার এই তিন বন্ধু যেন হরিহর আত্মা। একে অপরকে ছাড়া উভয়েই যেন অচল। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে উভয়কেই রুটিরুজির তাগিদে ভিন্ন ভিন্ন পেশায় চলে যেতে হয়। কিন্তু তাদের মধ্যে থেকে যায় বন্ধুত্বের অটুট বন্ধন। আর এই বন্ধুত্বকে কাজে লাগিয়েই আজ ওরা জেলা তথা রাজ‍্যের অন‍্যতম নজির।

journalist | newsfront.co
জল দান। নিজস্ব চিত্র

আরও পড়ুনঃ করোনা সংক্রমণে সাংসদের আর্থিক অনুদান রাজ্যকে

বর্তমান করোনা সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে রাজ্য সরকার গোটা দেশজুড়ে লকডাউন এর নির্দেশ জারি করেছে। সেই মতো রাজ্য জুড়ে চলছে লক ডাউন।

এরফলে বন্ধ ট্রেন বাস যানবাহন ও দোকানপাট । ফলে রাস্তার ভবঘুরেদের অন্ন প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে লকডাউনের দিনগুলি অসহায় দুস্থ মানুষজনদের মুখে খাদ্য তুলে দেওয়ার অঙ্গীকার নিলেন এই তিন বন্ধু।

বুধবার দুপুর থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মেচেদা, কোলাঘাট সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে অসহায়-দুস্থদের কাছে জল খাদ্য পৌঁছে দেন এই তিন বন্ধু। এমনকি যান চলাচল বন্ধ বলে, যে সমস্ত মানুষ পথেই আটকে পড়ে রয়েছেন তাদের কাছেও লকডাউনের কয়েক দিন খাদ‍্য পৌঁছে দিচ্ছেন তারা।

যে সমস্ত মানুষজন ইমারজেন্সি জীবিকার সাথে যুক্ত রয়েছেন তাদের হাতেও এদিন খাদ‍্য পৌঁছে দেওয়া হয়। বর্তমান বাজারে আতংক ছড়িয়েছে কয়েক দিনের মধ্যেই খাদ্যসামগ্রী অমিল হয়ে যাবে।

এমন পরিস্থিতিতে অর্থবান ব্যক্তিরা নিজেদের খাদ্য সুনিশ্চিত করতে নিজেদের বাড়িতে ব্যাপক হারে মজুত করছেন। কিন্তু দুস্থ মানুষদের এখন একেবারে করুন পরিস্থিতি। তাই এমন সময় তিন বন্ধুর উদ্যোগে নজির হিসেবেই দেখছেন জেলার মানুষজন।

তিনবন্ধুর মত, “সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। ফলে দোকানপাট খোলা না থাকায় এইসব অসহায়- দুঃস্থ মানুষদের একেবারে না খেয়েই থাকতে হবে। তাই আমরা ঠিক করেছি আমাদের সামর্থ মতো লকডাউনের দিনগুলো ওনাদের মুখে যতোটা অন্ন তুলে দেওয়া যায় তা আমরা চেষ্টা করবো।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here