জল সঙ্কটে ভুগছে সুন্দরবনের তিন গ্রাম পঞ্চায়েত, প্রশ্নের মুখে প্রশাসন

0
129

নিজস্ব সংবাদদাতা, দ‌ক্ষিণ ২৪ পরগণাঃ

শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা যে কোনও ঋতুতেই আজও রয়েছে অধিকাংশ গ্রামে জল সমস্যা। কল আছে তো জল নেই। যেখানে আবার জল পরিষেবা রয়েছে, সেখানে বেআইনি ভাবে পরিষেবা পাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। এর জেরে অধিকাংশ জায়গায় অবহেলায় পরে রয়েছে পিএইচই কল, যা থেকে বঞ্চিত অনেকেই।

water tank | newsfront.co
জলের ট্যাঙ্ক। নিজস্ব চিত্র

গ্রামে ডিপ টিউবওয়েল, পানীয় জলের কলের ব্যবস্থা থাকলেও অনেক জায়গাতেই অকেজ ভাবে পড়ে রয়েছে কল। তবে যেখানে কলের সুবিধা রয়েছে, সেখানে আবার জলের গুণগত মান ভাল নয়। ফলে জল সঙ্কটে দক্ষিণ সুন্দরবনের মথুরাপুর এক নম্বর ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর,পূর্ব মথুরাপুর, কাশিনগর– এই তিনটি পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রাম।

water tap | newsfront.co
জলের পাইপে জমেছে আগাছা। নিজস্ব চিত্র

মথুরাপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্ভুক্ত কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। এই পঞ্চায়েতে জনস্বাস্থ্য কারীগরি দফতরের উদ্যোগে সাত বছর আগে বসে পিএইচই পাম্প।

ভরসা দেওয়া হয়েছিল পানীয় জল পাওয়া যাবে। কিন্তু বিফলে গিয়েছে সেই ভরসা। পিএইচই পাম্পের সরকারি খাতায় রয়েছে ৮১ জনের নাম। কিন্তু অনুমতি ছাড়া পরিষেবা পাচ্ছেন ১৪০০ জন।

tubewell | newsfront.co
অকেজো টিউবকল। নিজস্ব চিত্র

ফলে যে পরিমাণ আয় হওয়ার কথা তার থেকে ব্যয় হচ্ছে বেশি। গৃহস্থের বাড়ি বাদ দিয়ে পটাশ জলের কারখানা, চালের মিল, মুড়ির মিলে চলছে জল পরিষেবা। প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চার ইঞ্চি পাইপ থেকে এক ইঞ্চি পাইপ লাগিয়ে রিজার্ভার ছাড়া ইলেকট্রিক মোটর দিয়ে চলছে রমরমিয়ে জল ব্যবহার।

locality | newsfront.co
বিনা অনুমতিতে জল ব্যবহারকারী। নিজস্ব চিত্র

এর ফলে সদিয়াল, ডাকাইতমারা, কৃষ্ণচন্দ্রপুর, অন্ধমুনিতলা এলাকা জল সঙ্কটে ভুগছে। অবশেষে বেআইনি জল পরিষেবা প্রাপ্যদের দৌরাত্ব্য কমাতে সরজমিনে নামলেন কৃষ্ণচন্দ্রপুর প্রধান, উপপ্রধান।

villagers | newsfront.co
সাহানারা বিবি, স্থানীয় বাসিন্দা। নিজস্ব চিত্র

আরও পড়ুনঃ সূর্যকান্তের মতে নরেন্দ্র মোদিই সবচেয়ে বড় দেশদ্রোহী

বর্তমানে এই পাম্পের দায়িত্ব পঞ্চায়েতের উপর। গরমের আগে জল সঙ্কট এড়াতে, বাড়িতে বাড়িতে সমীক্ষা করলেন তারা। সেখানেই চক্ষু ছানাবড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে আধিকারকদের। অবশেষে সমাধানের আশ্বাস দিরেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। বলা হয়েছে, অনুমতি না নিলে মিলবে না জল। পরিকাঠামো থাকলেও পরিষেবার গাফিলতি রয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

সূত্রের খবর, প্রশাসনিক ভাবে ছয়টি গ্রামে জল পরিষেবা থাকলেও জল পায় হাতে গোনা কয়েকটি বুথ মাত্র। পিএইচই জল পান করেন যারা, তাদের অনেকেই প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়া এই পরিষেবা গ্রহণ করে চলেছেন।

তবে এ বিষয়ে গ্রামসভার সদস্যরা প্রশাসনের কাছে কিছুই জানায়নি বলে দাবি করেছেন অনেকেই। ফলে বেআইনি পরিষেবা থাকায় আয় না বাড়ায়, সংস্কার করা হচ্ছে না পানীয় কলগুলি। ধীরে-ধীরে অকেজো হয়ে পড়ছে কৃষ্ণচন্দ্রপুরের পাম্প হাউস। অনেকেই ভাবছেন, জল সঙ্কট সমাধান করতে আদৌ তৎপর হবে কি না প্রশাসন, তা সময়ই বলবে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here