ঝাড়গ্রামে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় ধৃত তিন বৃহন্নলা, চোদ্দ দিনের জেল হেফাজত

0
199

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ

“বাড়ির লোকেদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সদ্যোজাতকে কোলে তুলে নেওয়া এবং বৃহন্নলাদের বিরুদ্ধে মােটা টাকা দাবি করার অভিযোগ দীর্ঘদিন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যা মানবিকতার সীমা ছাড়িয়ে যায়। এমন একক বৃহন্নলা অত্যাচারের শিকার হতে হল মাত্র এক মাস ২১ দিনের এক শিশুকে। ঘটনা বাড়গ্রামের শিলদার।

three kinner arrested for child murder incident in jhargram | newsfront.co
ধৃতরা। নিজস্ব চিত্র

অভিযোেগ, জোর করে দেড় মাসের অসুস্থ পুত্র সন্তান নাচাতে গিয়েই বৃহন্নলাদের হাতে মৃত্যু হয়েছে সুমন খিলারের। এই ঘটনার জেরে শোকে ভেঙে পড়েছেন বাবা-মা।

মৃত শিশুটি জ্যাঠা নটরাজ খিলারের অভিযোগের ভিত্তিতে বিনপুর থানার পুলিশ তিন বৃহন্নলাকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে।অভিযুক্ত তিন বৃহন্নলাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল ঝাড়গ্রাম আদালত।

child dead | newsfront.co
মৃত শিশু। নিজস্ব চিত্র

শনিবার সকালে সুহানা, রুমানা ও রানি মণ্ডল নামে ওই তিনজনকে আদালতে তোলা হলে বিচারক এডুইন লেপচা ওই নির্দেশ দেন।

শিলদার বাসিন্দা পেশায় গাড়ি চালক চন্দন খিলারের স্ত্রী তনিমা গত ৪ ডিসেম্বর ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে যমজ পুত্রসন্তান প্রসব করেন। বড় ছেলের নাম রাখা হয় সুমন, ছোটর শোভন। তবে জন্মের পরেই সুমনের হৃদ্‌যন্ত্রে সমস্যা ধরা পড়ে।

আরও পড়ুনঃ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিস্তায় উল্টে গেল যাত্রী বোঝায় ছোট গাড়ি, মৃত ১

চন্দনের অভিযোগ, শুক্রবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ তিন জন বৃহন্নলা জোড়া পুত্রসন্তানের জন্য ১২ হাজার টাকা দাবি করেন। চন্দনের কথায়, ‘‘ওঁরা এমন অশালীন আচরণ করছিলেন যে বাধ্য হয়ে টাকা দিতে রাজি হই। দু’হাজার টাকা এ দিন। আর বাকি টাকা পরে দেব বলেছিলাম।’’

চন্দন বলেন, ‘‘সুমনকে কোলে নিয়ে এক জন বৃহন্নলা এক পাক ঘুরতেই ওর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। প্রথমে শিলদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সেখান থেকে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটিতে আনা হয়। তবু বাঁচানো গেল না।’’

বৃহন্নলাদের আইনজীবী সুব্রত অধিকারী বলেন, “এফআইআর দেখে মনে হচ্ছে এখানে প্রকৃত তথ্য ধরা হয়নি। আমার মক্কেলদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এইজন্যই জামিনের আবেদন জানিয়েছিলাম। তা খারিজ করে দিয়েছে আদালত।”

আরও পড়ুনঃ ট্রাক্টরের যান্ত্রিক গোলযোগে দুর্ঘটনায় মৃত্যু চালকের

অন্যদিকে, মৃত শিশুর পরিবারের আইনজীবী কৌশিক সিনহা বলেন, “যে ঘটনা ঘটেছে তা মারাত্মক। সমাজের যে কোনও কেউ এমন অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে পারেন।

জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে ওই তিন বৃহন্নলার কাস্টডি ট্রায়ালের আবেদন করেছিলাম আমরা। আমি মনে করি এ ভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা আদায় প্রশাসনিক পদক্ষেপ করে বন্ধ করা দরকার।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here