নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
বড়ো সাফল্য পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের। আন্তঃরাজ্য এটিএম ডাকাতি চক্রের পান্ডা গ্রেফতার। অস্ত্রসহ গ্রেফতার আরও দুই। বুধবার সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠকে জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানান, মঙ্গলবার মাঝরাতে দাসপুরের গৌড়া এলাকায় একটি এটিএম ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টা করে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী। খবর পাওয়ার সাথে সাথেই দুষ্কৃতীদের গাড়ি ধাওয়া করে, দাসপুর ও ডেবরা থানার বর্ডার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় মুস্তাক, ইমতিয়াজ আলি ও মিঠুন রায় নামে তিন ব্যক্তিকে।
জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, আন্তঃরাজ্য এটিএম লুটের যে চক্র রাজ্য জুড়ে কাজ করছে তার পান্ডা মুস্তাক, হরিয়ানার বাসিন্দা। অপর দুই দুষ্কৃতী, ইমতিয়াজ আলির বাড়ি পাটনা ও মিঠুন রায়ের বাড়ি আসামে। চক্রের সাথে জড়িত আরো তিনজনের খোঁজে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার। ধৃতরা বেশ কয়েকটি এটিএম লুটের ঘটনার সাথে জড়িত বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ সুপার। জানা গিয়েছে গ্যাংটি বিভিন্ন রাজ্যে গাড়ির ভুয়ো নাম্বার প্লেট ব্যবহার করায় তাদের গ্রেফতার করতে বেশ কিছুটা বেগ পেতে হয় পুলিশকে।
পুলিশের প্রাথমিক জেরায় পুরো ঘটনা ধৃতরা স্বীকার করে নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি পিস্তল, দুটি লাইভ কার্তুজ, গ্যাস কাটার, বিশেষ ধরনের বেশ কয়েকটি রড। পুলিশের এই সাফল্যের পর দাসপুর ও ডেবরা থানাকে ২০০০০টাকা আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন জেলা পুলিশ সুপার।
আরও পড়ুনঃ মালবাজারের গাড়ির ধাক্কায় আহত চিতাবাঘকে খাঁচাবন্দি করল বনকর্মীরা
পাশাপাশি বাজি বিক্রির ক্ষেত্রে সরকারি গাইডলাইন না মানলে নেওয়া হবে কড়া ব্যাবস্থা, প্রয়োজনে বাতিল করা হবে লাইসেন্স, কেশিয়াড়িতে অবৈধ বাজি কারখানায় বিষ্ফোরণ ঘটনার পরেই সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার। ৫০ কেজির বেশি বাজি রাখা যাবে না বলেও জানিয়েদেন তিনি। একই সাথে কেশিয়ারির ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার জানান, অবৈধ বাজি কারখানা চালানোর অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584