নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনাঃ
আজ থেকে পনেরো বছর আগে শিয়ালদহ- বনগাঁ এবং শিয়ালদহ -বসিরহাট শাখায় দুষ্কৃতীদের তান্ডবে বিশেষ ঝক্কি পোহাতে হয়েছিল প্রশাসনকে। সন্ধে নামলেই ট্রেনকে লক্ষ্য করে লাইনের পাথর ছোঁড়া হত। প্রশাসনের তৎপরতায় কিছুদিন থামলেও। ফের তা শুরু হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় আপ শিয়ালদহ – বনগাঁ লোকাল বামনগাছি এবং দত্তপুকুরের মধ্যে পৌঁছালে যেখানে আট বছর আগে সৌরভ চৌধুরীর মৃত দেহ উদ্ধার হয় সেই এলাকা থেকে ট্রেনকে লক্ষ্য করে রেল লাইনের পাথর ছুঁড়তে শুরু করে দুষ্কৃতীরা।কিছু বুঝে ওঠার আগেই আচমকা ঐ পাথর এসে লাগে ট্রেনের মধ্যে থাকা অদ্রিজা নামক সাত বছরের এক মেয়ের মুখে, সঙ্গে সঙ্গে মুখ ফেটে রক্ত পড়তে থাকে, অশোকনগরের বাসিন্দা ঐ মেয়েটিকে হাবরা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং একটি সেলাই করে ছেড়ে দেন। তারপর থেকেই আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন পুরো পরিবার।
সম্প্রতি বামনগাছি ও দত্তপুকুর স্টেশনের মধ্যবর্তী এলাকায় রেল লাইন থেকে বোমা উদ্ধার হয়, এছাড়া শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার এক ট্রেন চালক দাবি করেন যে অন্ধকার হলে ট্রেনের জানলা কিংবা দরজা খুলে যাওয়া যায় না, ভয় করে, যখন তখন পাথর এসে পরে ট্রেনের উপর, কয়েকদিন আগেই দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া পাথরে আপ হাবরা লোকালের সামনের কাঁচ ফেটে যায়।
শনিবার এমন দুঃসাসহিক ঘটনার পর স্থানীয়দের দাবী দীর্ঘ কয়েকদিন ধরেই পাড়ায় বাইরের অচেনা ছেলের আনাগোনা দেখা যায়, সন্ধে হলেই এলাকার কিছু বদমাশ দের সঙ্গে মিশে তারা আড্ডা জমাত রেল লাইন পাড়ে, এবিষয়ে স্থানীয় পুলিশকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।এছাড়া ঐ এলাকার বাসিন্দা রমেন দাস কে জিগ্যেস করা হলে ক্ষোভের সুরে তিনি বলেন সন্ধে নামলেই ওখানে গাজা, মদের ঠেক বসে, সেটা পুলিশও জানে। প্রথমদিকে স্থানীয় মানুষজন বাধা দিতে গেলে তাদের কে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখাত, ফলে অন্ধকার হলে রেল লাইনে কেউ যেত না, সেই সুযোগটা কাজে লাগত তারা।
আরও পড়ুনঃ স্কুলছাত্রী গণধর্ষিতা, গ্রেপ্তার ২
এই পুরো ঘটনায় রেল পুলিশের দাবী রেল লাইন পাড়ের এরকম আড্ডা বিষয়ে আগে আমাদের কেউই জানায় নি, এছাড়া তদন্ত চলছে, আশা রাখছি খুব শীঘ্রই আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারব এবং এ বিষয়ে কার্যত নির্বিকার স্থানীয় প্রশাসন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584