মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
রাস্তার কাজের ঠিকাকর্মীকে বন্দুক উঁচিয়ে ভয় দেখিয়ে কাজ বন্ধ করতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃনমূলের মধ্যে বোমাবাজি ও গোলাগুলি হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় দুটি বাইককে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা।
ঘটনাটি ঘটেছে দিনহাটা ১ নং ব্লকের পুটিমারি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জরাবাড়ি-কুচনি ২ সংলগ্ন এলাকায়। ওই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দিনহাটা থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বেশ কিছু বন্দুকের গুলির খোল ও বোমের সূতলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় উত্তেজনা থাকায় পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে তা স্বাভাবিক হয়ে যায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অভিযোগ, জরাবাড়ি-কুচনি-২ সংলগ্ন এলাকায় পাকা রাস্তার কাজ চলছে। সেই সময় জরাবাড়ি, কোয়ালিদহ সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০/১২ জন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী বাইকে চেপে আসেন। ওই রাস্তার কাজে কর্তব্যরত শ্রমিক এবং বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদারকে ভয় দেখান, এমনকি তার কপালে বন্দুক ঠেকান বলেও অভিযোগ। গ্রামবাসীরা এই সমস্ত দুষ্কৃতীরা প্রত্যেকেই বিজেপির কর্মী সমর্থক। এই ঘটনা জানার পর স্থানীয় পঞ্চায়েতের বাড়িতে থাকা তৃণমূলের কর্মী সমর্থক সহ গ্রামবাসীরা এই দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করে। এমত অবস্থায় ঘটনাস্থল দুটি বাইক ফেলে পালিয়ে যায় বিজেপি আশ্রিত ওই দুষ্কৃতীরা। এমনি কি সেখানে একে অপরের দিকে বোমা ছোড়া ও গুলি চলান হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের ওই দুটি বাইক পরবর্তীতে গ্রামবাসীরা ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে দিনহাটা থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায় এবং ভাঙচুররত ওই বাইক দুটিকে উদ্ধার করে দিনহাটা থানায় নিয়ে আসে। এই ঘটনার ফলে এলাকায় রয়েছে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
রাস্তার কাজে বরাত প্রাপ্ত ঠিকাকর্মী মহেশ বর্মণ বলেন, আমরা কাজ করছি, সেই সময় বিজেপির কিছু ছেলে বাইকে করে এসে আমাদের বলে কাজ বন্দ করে এখান থেকে সরে যাও। তারপর তারা একটা আওয়াজ করল মনে হচ্ছে তারা বন্দুক দিয়ে ফায়ার করছে। পরে আমরা সেখান থেকে সরে যায়। জানতে পারি পরে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয় ও বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ।
স্থানীয় তৃনমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য আজগার আলি বলেন, রাস্তার কাজের আটকে দেওয়ার জন্য আসে বিজেপি কর্মীরা। তখন স্থানীয় লোকজন তাঁদের বাধা দেয়। তখন তারা ফাকা ফায়ার করেন। তখন ওই আওয়াজ পাওয়া পর স্থানীয় তৃনমূল কর্মীরা চেখানে ছুটে যায়। তখন বিজেপি কর্মীরা সেখান দুটি বাইক থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ওই বাইক দুটি ভাঙচুর করেন।
আরও পড়ুনঃ হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীর সাথে টুকটুক চালকের হাতাহাতি
এই অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি নেতা সুদেব কর্মকার বলেন, ওই ঘটনার সাথে বিজেপির কোন সম্পর্ক নেই। রাস্তার কাজের পার্সেন্টেজ নিয়ে তৃনমূলে গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই হয়েছে। আর যদি কোন বিজেপি কর্মী ওই ঘটনার সাথে যুক্ত থাকা দল তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584