মেদিনীপুরের রামজীবনপুর পৌরসভা দখলে আইনের দ্বারস্থ তৃণমূলের কাউন্সিলররা

0
90

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা টাউন থানার অন্তর্গত রামজীবনপুর পৌরসভা দখল রাজনীতি এখন তুঙ্গে। পৌর নির্বাচনের ফলাফলে ১১ আসন বিশিষ্ট রামজীবনপুর পৌরসভাতে পাঁচটি আসন পেয়েছিল তৃণমূল, পাঁচটি বিজেপি ও একটি নির্দল।

tmc councillor in front of law | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

কিন্তু বিজেপির দুই কাউন্সিলর পরে তৃণমূলে যোগদান করায় তৃণমূল রামজীবনপুর পৌরসভাতে বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল। এই পরিস্থিতি বেশ কিছুদিন চলার পর ধীরে ধীরে তারা পুনরায় বিজেপিতে ফিরে যায়। ফলে চেহারা দাঁড়ায়- বিজেপির ৫, তৃণমূলের ৫ ও নির্দলের ১, এ।

tmc councillor in front of law | newsfront.co
গোবিন্দ মুখার্জি। নিজস্ব চিত্র

গত এক মাস আগে তৃণমূলের এক কাউন্সিলর শিবরাম দাস বিজেপিতে যোগ দেন। তখনই বিজেপির কাউন্সিলর সংখ্যা হয় ৬, তৃণমূলের ৪ ও নির্দলের ১ জন।

গত একমাস ধরেই এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নিজেদের বোর্ড গঠন করার চেষ্টা চালাচ্ছিল বিজেপি। বুধবার প্রশাসনিক নিয়ম ব্যতিরেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি কাউন্সিলররা একত্রিত হয়ে পৌরসভায় বোর্ড গঠন করছে বলে ঘোষণা করে।

tmc councillor in front of law | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

পুর প্রধান হিসাবে নির্বাচিত করা হয় গোবিন্দ মুখার্জি নামে এক প্রবীণ বিজেপির কাউন্সিলরকে। কিন্তু সেখানে মহাকুমা শাসকের অনুমতি ছিল না। ফলে প্রয়োজনীয় আইনি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়নি।

puro pradhan | newsfront.co
নির্মল চৌধুরী,পুর প্রধান। নিজস্ব চিত্র

এই পরিস্থিতিতেও- আমাদের বোর্ড দাবি করে বিজেপি কাউন্সিলররা পুরপ্রধানের ঘরে ঢুকে তৃণমূলের প্রধানের বোর্ড সরিয়ে দেয়। বিভিন্ন ফাইলপত্র সরানো হয় বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুনঃ চারজন বাংলাদেশি কিশোরকে প্রত্যার্পণ করল ভারত সরকার

tmc councillor in front of law | newsfront.co
নন্দ নিয়োগী। নিজস্ব চিত্র

এরপরই বিকেলে তৃণমূলের কাউন্সিলর-সহ পুরপ্রধান চন্দ্রকোনা টাউন থানায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে। বেআইনিভাবে পুরপ্রধান এর রুমে ঢুকে নথি তছনছ করা, সহ বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ করা হয়েছে। সেই মতো পুলিশের পক্ষ থেকে বিজেপির ৬ কাউন্সিলরকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

tmc councillor in front of law | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

এরপর বৃহস্পতিবার পুলিশি নিরাপত্তায় মেন রুমে ঢুকে কাজ শুরু করেন তৃণমূলের পুরপ্রধান নির্মল চৌধুরী। তিনি বলেন- আইনি ব্যবস্থা সিদ্ধান্ত নেবে কে পুরপ্রধান আর কে নয়।

বেআইনি এই পদ্ধতির বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ করেছিলাম। বর্তমানে পুলিশ দিয়ে কাজকর্ম স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিজেপির স্থানীয় নেতা নন্দ নিয়োগী বলেন- আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলাম বলে বোর্ড গঠন করেছিলাম। পুলিশ প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এখন পুলিশ যে কাজটা করছে তাতে পরিষ্কার রাজ্যে আইনের শাসন সঠিক নেই। মানুষ ঠিক দেখতে পাবেন।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here