নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
কলেজ ছাত্রী তুহিনা খাতুনকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ায় অভিযুক্ত বর্ধমান পুরসভার সদ্য নির্বাচিত কাউন্সিলার বসির আহমেদ ওরফে বাদশা লুকিয়ে চুরিয়ে শপথ নিলেন মহকুমা শাসকের চেম্বারে, এই নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি কিসের ভয়ে জনসমক্ষে আসতেই পারছেন না!
১৯ বছরের তুহিনা খাতুন তিনি নিজেও ছিলেন একজন তৃণমূল কর্মী। পুর ভোটের ফল ঘোষণার দিন নিজের বাড়িতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। তুহিনাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলেরই অন্য এক গোষ্ঠীর নেতা বসির আহমেদ ওরফে বাদশা-র দিকে। ভোটের আগে থেকেই তুহিনাদের ৩ বোনকে খুন ও ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। তুহিনার বাড়ির দেওয়ালে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ৩ বোনের ছবিও এঁকে দিয়ে গিয়েছিল বাদশা এবং তার দলবল এমনটাই অভিযোগ।
গত ২ মার্চ পুরসভার ফল ঘোষণার দিন বর্ধমান শহরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুরবাগ এলাকায় কলেজ ছাত্রী তুহিনা খাতুনের বাড়িতে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগ ওঠে এলাকার সদ্য নির্বাচিত কাউন্সিলর বাদশা ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। তুহিনার পরিবারের পক্ষ থেকে বর্ধমান থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয় বসির আহমেদ সহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে। এখনো পর্যন্ত ঐ অভিযোগে ৪ জন মহিলা সহ মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, কিন্তু প্রধান অভিযুক্ত বাদশা-কে কোন এক ‘অজ্ঞাত’ কারণে এখনো গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে জনরোষ, উত্তেজিত জনতার অগ্নি সংযোগ বিহারের বেলথার থানায়
অভিযুক্ত সেই তৃণমূল কাউন্সিলরের শপথ ঘিরে ফের উত্তপ্ত রাজনীতি। অভিযুক্ত কাউন্সিলর বসির আহমেদ ১৭ মার্চ শপথ নিলেন এসডিও অফিসে। তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান বর্ধমান সদর (উত্তর) মহকুমাশাসক তীর্থঙ্কর বিশ্বাস। উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ বর্ধমান পুরসভার নবনির্বাচিত ৩৩ জন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর শপথ গ্রহণ করেন বর্ধমান সদর মহকুমা শাসক তীর্থঙ্কর বিশ্বাসের কাছে। কিন্তু সেদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হননি বসিরউদ্দিন আহমেদ ওরফে বাদশা। কিন্তু ঠিক তার পরের দিন অর্থাৎ ১৭ মার্চ দ্বিতীয়ার্ধে মহকুমাশাসকের চেম্বারে গিয়ে শপথ নেন তিনি। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই আবার মাথাচাড়া দিয়েছে বিতর্ক।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584