নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি।গ্রাম পঞ্চায়েতও তৃণমূলের। আর এই পঞ্চায়েত সমিতি গ্রাম পঞ্চায়েতের রিরুদ্ধে ডেপুটেশন দিলো খোদ তৃণমূল।
শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা এলাকার মঞ্জুশ্রী অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নানা দাবির ভিত্তিতে এগরা-২ ব্লকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।তবে খোঁচা দিতে একেবারেই ছাড়েনি বিরোধীরা। কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূল ম্যাজিক দেখানো শুরু করেছে।
পশ্চিমবঙ্গ ভদ্রলোকের জায়গা।দেশপ্রেমী, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জায়গা। ওঁদের (তৃণমূল) মতো ম্যাজিশিয়ানের জায়গা নয়।ওঁরা লোককে এভাবে দেখিয়ে বোঝাতে পারবে না।তৃণমূল কাটমানি খাওয়ার দল।তৃণমূল ধান্দাবাজ দল, তা প্রমাণিত।
আর ওইরকম ভেক দেখিয়ে মানুষকে বিপথে পরিচালিত করার চিন্তা।তাঁরা যেন মনে করছে আমরাই বিরোধী।কিন্তু সবগুলোই ডাকাতের সর্দার।এতএব মানুষ বুঝে নিয়েছে, আগামী নির্বাচনে বাংলা থেকে তৃণমূলকে মানুষ ঝাঁটিয়ে বিদায় দেবে।”
তবে জেলা সিপিএম নেতা মামুদ হোসেন বলেন, “ধর্মের কল বাতাসে নড়ে।আমরা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছি।এখন তৃণমূলের বন্ধুরা বুঝতে পেরেছেন।এটাই আমাদের কাছে ভালো লাগছে।
দুর্নীতি, অনিয়ম- বেনিয়ম, স্বজনপোষণ, দলবাজি- এই সব অভিযোগ আমরা করে আসছি।আমরা চাই সকলে মিলে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে এবং সর্বস্তরের মানুষকে একজোট হয়ে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানাব।”
আরও পড়ুনঃ আধিকারিককে মারধোরে ধৃত কর্মাধ্যক্ষ, দুই কর্মীকে সাসপেন্ড তৃণমূলের
তৃণমূল সূত্রের খবর, এদিন মঞ্জুশ্রী গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় থেকে অঞ্চল তৃণমূলের কয়েকশো নেতা- কর্মী মিছিল করে ব্লক অফিসের সামনে পৌঁছায়।তারপর নেতৃত্বরা বিডিও কাছে নানা দাবির ভিত্তিতে ডেপুটেশন দেয়
স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা দলের অঞ্চল কমিটির কনভেনর শেখ আইজাদ হোসেন ও মঞ্জুশ্রী গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান তথা ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি প্রকাশ রায়চৌধুরীরা জানান, বুলবুল ঘুর্ণিঝড় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা এখনও সরকারি ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
এই ব্লকে আইসিডিএস-এর ফিল্ড ফেসিলিয়েটরে নিয়োগকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।ব্লকের মৎস্য আধিকারিক মাছের খাওয়ার অন্য ব্লকে বিক্রি করছে।তাঁদের অভিযোগ, বার্ধক্য ও বিধবা ভাতায় প্রকৃত বয়স্করা বঞ্চিত হচ্ছেন।
নেতৃত্বের হুঁশিয়ারি, অন্যায় হলে আমরা ছেড়ে কথা বলবো না।পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি না বিডিও কার নির্দেশে বিধবা ভাতা ও বার্ধক্যভাতার তালিকা করা হয়েছে, কিন্তু সেক্ষেত্রে এই তালিকায় প্রকৃত প্রাপকেরা বঞ্চিত হয়েছে।
তবে এগরা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীনেশ কুমার প্রধান বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতিকে অন্ধকারে রেখে বিডিও জেলায় বিধবা ও বার্ধক্য ভাতার তালিকা পাঠিয়েছে।তবে আমার কিছু জানা নেই।” এগরা-২ এর বিডিও রাণী ভট্টাচার্য বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে উনারা আমার কাছে ডেপুটেশন দিয়েছেন।সমস্ত দাবিদাওয়া খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584