মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
ফের তৃনমুলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এল কোচবিহারে।শনিবার সন্ধ্যায় ৭ টা নাগাদ যুব মাদারের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহার ১ নং ব্লকের ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের কাটামারি বাজার।ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন তৃনমূল কংগ্রেসের এক প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য।রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।আহত ওই প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের নাম ফজিদার রহমান।
ওই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় কোচবিহার কোতয়ালি থানার পুলিশ।ঘটনার পর এলাকা উত্তেজিত থাকায় মোতায়েন করা হয় পুলিশ।ওই ঘটনার খবর পেয়ে আহত ওই প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যকে হাসপাতালে দেখতে কোচবিহার জেলার তৃনমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুল জলিল আহমেদ ও কোচবিহার ১ নং ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি খোকন মিয়াঁ।
জানা গিয়েছে,এদিন সন্ধ্যায় অসমের ৫ বাঙ্গালিকে গুলি করে খুন করার প্রতিবাদে কাটামারি বাজারে তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। ওই প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য সেই বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য সেখানে যাচ্ছিলেন।অভিযোগ, সেই সময় তাকে স্থানীয় কয়েকজন তৃনমূল যুব কংগ্রেস কর্মী রাস্তায় আটক করে মারধোর করেন।স্থানীয়রা ছুটে আসতেই ওই যুব কর্মীরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে ভর্তি করে।
কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালের বেডে শুয়ে আহত প্রাক্তন পঞ্চায়েত ফজিদার রহমান বলেন,“আমি তৃনমূল কংগ্রেস করি। আজ আমাদের কাটামারি বাজারে প্রতিবাদ মিছিল ছিল, আমি সেখানে যাচ্ছিলাম।সেই সময় আমাকে রাস্তায় ফেলে মারধোর করে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নাম করে এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে রাখা কিছু দুষ্কৃতী।”
এদিন হাসপাতালে আহত ওই প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যকে দেখতে এসে কোচবিহার জেলার তৃনমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন,“যারা আজ আমাদের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যকে মারধোর করেছে তারা হল সমাজের দুষ্কৃতী। এরা যুব তৃনমূল হতে পারেনা।এরা তৃণমূল দলের বদনাম করার জন্য যুবর নাম ভাঙ্গাচ্ছে।আর তারা যদি আমাদের দলের কেউ হয় তাহলে আমরা দলগত ভাবে ব্যবস্থা নেব।”
কোচবিহার ১ নং ব্লকের সভাপতি খোকন মিয়াঁ বলেন,“এরা সমাজের দুষ্কৃতি,এদের সাথে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন সম্পর্ক নেই। এদের সাথে বিজেপির আঁতাত আছে।”
অপর দিকে তৃনমূল যুব কংগ্রেসের কোচবিহার জেলার সভাপতি তথা সাংসদ পার্থ প্রতিম রায় বলেন,“ঘটনাটি আমি শুনেছি।কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা আমার জানা নেই। আমাদের দলের এক প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য আক্রান্ত হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।আমরা দলগত ভাবে আহত ওই প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের পাশে আছি।পুলিশকে জানান হয়েছে যারা প্রকৃত দোষী তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করুক।” যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে ওই অভিযোগ অস্বীকার করে।তাদের দাবী,ওটা তৃনমুলের দুই গোষ্ঠী কোন্দলের ফলে ওই ঘটনা ঘটেছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584