পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
ফাঁকা মাঠে অর্ধনগ্ন ও শরীরের উপরের অংশ পোড়া অবস্থায় তৃণমূল কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালো বীরভূমের লাভপুরে।
মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম সুফল বাগদি, পরিবারের দাবি শুক্রবার তৃণমূল কর্মীর ফোনে একটি ফোন আসে, তারপর হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে যায়। সারারাত বাড়ি ফেরেনি, শনিবার সকালে লাভপুর থানায় নিখোঁজের অভিযোগ করা হয়। শনিবার রাতেই লাভপুর থানা থেকে খবর আসে সুফল বাগদির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃত তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী শ্যামলী বাগদি লাভপুর থানা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা।
লাভপুর থানার পুলিশের দাবি শনিবার বিকেলে পাশের মুর্শিদাবাদ জেলার বড়োয়া থানা থেকে খবর আসে সেখানে একটি অর্ধনগ্ন এবং অর্ধ পোড়া মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ অমিতের বাংলা সফরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মেদিনীপুরে
নিখোঁজ তৃণমূল কর্মীর সাথে মৃতদেহটির সাদৃশ্য রয়েছে বলে জানা যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে লাভপুর থানার পুলিশ। পুলিশের তরফে খবর দেওয়া হয় তৃণমূল কর্মীর স্ত্রীকে, তিনি এসে মৃতদেহ শনাক্ত করে। তবে কে বা কারা কেন খুন করল সে বিষয়ে ঠিবা পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্যা এবং মৃত তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী শ্যামলী বাগদি স্পষ্ট কোন ধারণা দিতে পারেননি।
যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতা তরুণ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এলাকার বিজেপি নেতা মনিরুল ইসলাম ঠিবা গ্রামে বিজেপির সংগঠন বাড়াতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছিলেন সুফল বাগদির সাংগঠনিক দক্ষতার জন্য। কারণ সুফল ওই এলাকায় তৃণমূলের একনিষ্ঠ এবং দক্ষ সংগঠক ছিলেন, ওকে সরিয়ে দিতে পারলেই বিজেপির দখলে চলে যাবে গ্রামটি এমনটাই মনে করে এই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584