মুখ্যমন্ত্রীকে হিটলার সাম্প্রদায়িক বলে ক্ষমা প্রার্থনা তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য

0
105

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ

মুখ্যমন্ত্রীর নামে কটূক্তি করে শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইলেন কোচবিহার ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য রসিদুল হক। কোচবিহার জেলা পরিষদের বোর্ড গঠনের দিন পছন্দের লোক সভাধিপতি হতে না পারায় মুখ্যমন্ত্রীর নামে কটূক্তি করে মুখ্যমন্ত্রীকে হিটলার ও সাম্প্রদায়িক বলে আখ্যায়িত করেন। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।এতে দলের ভিতরে ও বাইরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় রসিদুল হককে।এরপরেই তিনি এদিন ক্ষমা চেয়ে বলেন, “ আমি বোর্ড গঠনের দিন রাগে ও আবেগে মুখ্যমন্ত্রীর নামে কিছু কথা বলে ফেলে ছিলাম।এর জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। তিনি দলের প্রত্যেক কর্মীর মা।আমাকে যেন সন্তান সম মনে করে ক্ষমা করে দেন তিনি।”

অভিযুক্ত রসিদুল হক।নিজস্ব চিত্র

২৮ সেপ্টেম্বর কোচবিহার জেলা পরিষদের বোর্ড গঠন হয়। সভাধিপতি হন উমাকান্ত বর্মণ ও সহ সভাধিপতি হন পুষ্পিতা রায় ডাকুয়া।এতে সভাধিপতি হওয়ার অন্যতম দাবীদার আব্দুল জলিল আহমেদ অনুগামীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। জেলা পরিষদ চত্বরে ব্যাপক জমায়েত করে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিতে থাকে। বনমন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মণ ও বিধায়ক উদয়ন গুহের ছবিতে জুতার মালা পড়িয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এখানেই থেমে থাকেন নি আব্দুল জলিল আহমেদ অনুগামীরা। তাঁদের অন্যতম প্নচক্সায়েত সমিতির সদস্য রসিদুল হক তো খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বসেন। এতে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়। অনেক কর্মী সোশ্যাল মিডিয়ায় রসিদুল হককে দল থেকে বের করে দেওয়ার পাশাপাশি আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানাতে থাকেন। তাই শেষ পর্যন্ত চাপে পড়ে তিনি এদিন ওই ক্ষমা প্রার্থনা চাইলেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ নতুন দলের সূচনা তৃণমূল সংগঠকের

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here