নিজস্ব সংবাদদাতা,মুর্শিদাবাদঃ মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হতে আর হাতে গোনা দুই দিন বাকি। আর তার মাঝেই কংগ্রেস সমর্থকদের হাতে রক্তাক্ত হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মেম্বার সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী।
ঘটনা কি ঘটেছে রাণীনগর থানা এলাকার কালিনগর গ্রামে। আজ রাত্রি দশটার সময় কালিনগর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিনগর গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যি তুহিন সরকার যখন বাড়িতে ফিরছিলেন, তখন অতর্কিতভাবে তার উপর হামলা চালায় কংগ্রেসের কয়েকজন কর্মী। মাটিতে ফেলে বাস,লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। চিৎকারের আওয়াজ শুনে তুহিন সরকার-এর ভাই শরিফুল ইসলাম ভাইকে বাঁচাতে আসলে তাকেও মাটিতে ফেলে বাঁশ দিয়ে মারতে থাকে। হট্টগোল ও চিৎকার আওয়াজ শুনে আশেপাশের তৃণমূল সমর্থকরা এগিয়ে আসলে তাদেরও মারতে থাকে কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা। লোহার রড, বাস ও পাথরের আঘাতে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক গুরুতর আহত হন। কারোর মাথা ফেটে যায়, কারো নাক কান, ফেটে যায় তো কারোর হাত ভেঙে যায়। স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় আহতদের প্রথমে গোধনপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হলে গুরুতর আহত তিনজনকে বহরমপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় আহত শরিফুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানান, তার ভাইয়ের বাড়ির সামনে কংগ্রেস কর্মী আফতাব শেখ, স্বপন শেখ ও তার দলবল তাদের উপর হামলা চালায়। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে উপস্থিত হন রানিনগর দুই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শাহ আলম সরকার।তার তৎপরতায় গুরুতর আহত তুহিন সরকার, শরিফুল ইসলাম ও লিটন মোল্লাকে সঙ্গে সঙ্গে বহরমপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়
রানীনগর দুই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শাহ আলম সরকার জানান, ভোটের মুখে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে কংগ্রেস ও তার গুন্ডাবাহিনী।
এ ঘটনার পর এলাকাজুড়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় ও দোষীদের খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে রানীনগর থানার পুলিশ। যদিও এই ঘটনার পর ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে এলাকাজুড়ে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584