নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর ২ নম্বর ব্লকের সুলতানপুর এলাকায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে পঞ্চায়েত রাজ কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ওই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, রাজ্যের জল সম্পদ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরাসিংহ হাজরা, বিধায়ক বিক্রম প্রধান, শ্রীকান্ত মাহাতো,প্রদুৎ ঘোষ, শিউলি শাহা, দিনেন রায়, প্রদীপ সরকার সহ দলের অন্যান্য বিধায়করা।
ওই পঞ্চায়েত রাজ কর্মী সম্মেলনে হাজার দশেক মানুষ শামিল হয়েছিলেন। এদিনের সম্মেলন মঞ্চে, নেতাজী সম্পর্কিত তথ্য বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্র সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রকাশ করতে হবে বলে দাবি করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। তিনি বলেন, “আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নেতাজী সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করার আবেদন করেছি। সেই সঙ্গে তিনি বলেন আগামী প্রজন্মের কাছে এবং সারা দেশবাসীর কাছে নেতাজীর সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার জন্য নেতাজী সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করতে হবে।”
আরও পড়ুনঃ ‘তৃণমূলের পচা আলু সংগ্রহ করে দল চালাচ্ছে বিজেপি’, মাথাভাঙায় বললেন দেবাংশু
সেইসঙ্গে অজিত মাইতি এও বলেন, “স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পালন করা হবে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও তৃণমূল কংগ্রেস স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালন করবে।”
শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে তিনি বলেন, “একটা বেইমান দল থেকে চলে গেছে বলে দলের কোনো ক্ষতি হয়নি।ওই বেইমান দল থেকে চলে যাওয়ায় দল আরও শক্তিশালী হয়েছে। ওই বেইমানকে মানুষ যোগ্য জবাব দেবে। ওই বেইমান কে গড়বেতার ছোট আঙারিয়া এবং লালগড়ের নেতাইয়ের মানুষ উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। উনি যদি জননেতা হতেন তাহলে উনি যেদিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন সেদিন উনার ছবিতে মানুষ জুতার মালা দিয়ে অভ্যর্থনা জানাত না, ওর ছবি তে থুতু দিত না। সামনের বিধানসভা নির্বাচনে ওই বেইমান কে আমরা যোগ্য জবাব দেবো। বাংলার মাটিতে বেইমানদের আগামী দিনেও কোন জায়গা হবে না।”
আরও পড়ুনঃ ময়নাগুড়িতে মৃৎশিল্পী সম্মেলন
রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, “বাংলার মানুষ সবকিছু দেখছেন শুনছেন।ওই বেইমান কে বাংলার মানুষ ঠিক সময়ে সঠিক জবাব দেবেন। কারণ যেভাবে উনি দল কে প্রতারণা করে বিজেপিতে যোগদান করেছেন তা বাংলার মানুষ কোন মতেই মেনে নেবে না।”
কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহা বলেন,”দলে থেকে যারা দলের ক্ষতি করতে চান তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। সর্ষের মধ্যে ভূত লুকিয়ে থাকবে তা কোনোদিন হতে পারেনা। মিছিলে যাবে না, বাড়ি বাড়ি প্রচারে যাবে না অথচ মঞ্চে এসে আলো করে বসে থাকবেন তা হতে পারে না। মানুষের কাছে যেতে হবে রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্প এর কথা তুলে ধরতে হবে, কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। মানুষের সুখে দুঃখে তাদের পাশে থাকতে হবে। তবেই মানুষ আমাদের পাশে থাকবে। লোকসভা নির্বাচনে মানুষ কিছুটা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, কিন্তু বর্তমানে মানুষ আমাদের পাশে রয়েছেন। তাই প্রতিটি সভা ও মিছিলে হাজার হাজার মানুষ শামিল হচ্ছেন।”
বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো বলেন,গদ্দারদের কেউ বিশ্বাস করে না। তাই যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে গদ্দার বিশ্বাসঘাতকদের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মাটি থেকে উৎখাত করার জন্য। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মাটি স্বাধীনতা আন্দোলনের মাটি। এই মাটি বেইমানদের কোনদিনই বিশ্বাস করেনা। ক্ষুদিরামের মাটি, বিদ্যাসাগরের মাটি কোনদিন বেইমানদের জায়গা করে দেবে না। তাই যুবসমাজকে এগিয়ে এসে দলকে আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য তিনি আহ্বান জানান। বিধায়ক বিক্রম প্রধান কৃষকদের বঞ্চনা করছে কেন্দ্র সরকার বলে মন্তব্য করেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584