নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
বালুরঘাটে স্বাস্থ্য-বিধি ‘উড়িয়ে’ দলবদলের অনুষ্ঠান, অভিযুক্ত তৃণমূল। তৃণমূলের ওই কর্মসূচিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় ছিল না বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। অনেকের মুখে ছিল না ‘মাস্ক’। সোমবার দুপুরে বালুরঘাট শহরের কাঠাল্পাড়ায় তৃণমূলের নতুন কার্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানটি হয়।
গত লোকসভা নির্বাচনের পর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূল দলের প্রাক্তন সভাপতি বিপ্লব মিত্র সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ যে কজন কর্মাধ্যক্ষ ও সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে বাকি তিন সদস্যই আজ ফের তৃণমূলে ফিরলেন।
আরও পড়ুনঃ পুজো উপলক্ষে শ্রম প্রতিমন্ত্রীর উদ্যোগে বস্ত্র বিতরণ
এক বছর আগেই জেলাপরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায় সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে ফিরে এসেছিলেন। তারপর দীর্ঘ টানাপোড়নের পর চলতি বছরের ২৪ জুলাই বিপ্লব মিত্র ও তার ভাই প্রশান্ত মিত্র বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে আসেন।
বাকি যে তিনজন অবশিষ্ট ছিলেন সেই মফিযুদ্দীন মিঞা,চিন্তামনি বিহা,প্রতিভা মন্ডল আজ আবার তৃণমূলে যোগ দিলেন। এরা তৃণমূলে ফিরে আসায় একদিকে যেমন আসন্ন ভোটের মুখে দল কিছুটা হলেও জেলায় নিজের শক্তি সঞ্চার করল, পাশাপাশি ফের জেলা পরিষদে একক ভাবে সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করল।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যে করোনার দাপট বাড়ছে, পুজোয় করোনা সতর্কতা নিয়ে নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক
যদিও আজকের এই দলবদলের অনুষ্ঠানে দীর্ঘ দিন পর তৃণমূল কার্যালয়ে হাজির হয়েছিলেন সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে আসা বিপ্লব মিত্র। বলতে গেলে আজকের এই অনুষ্ঠানে জেলা সভাপতি গৌতম দাস, কোর কমিটির তিন সদস্য ললিতা টিজ্ঞা, সুভাষ চাকি, থাকলেও অনুষ্ঠানের মধ্যমনি ছিলেন একজনই। তিনি বিপ্লব মিত্র। দীর্ঘদিন পর তিনি দলের কোন অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে দেখা দিলেন।
আরও পড়ুনঃ দেশের পক্ষে ভয়ঙ্কর! কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ সোনিয়ার
তাই তাকে দেখতে ও তার সান্নিধ্য পেতে আজ বালুরঘাটের দলের কার্যালয়ে বহু কর্মী সমর্থক ভিড় জমিয়েছিল। আজকের এই অনুষ্ঠান মাঝারি হলেও প্রচুর লোকজন থাকায় গা-ঘেঁষাঘেঁষি করে বসতে দেখা গিয়েছে অনেককে। কারও মুখে ‘মাস্ক’ ছিল না। কারও ‘মাস্ক’ ঝুলছিল থুঁতনির কাছে। দলে যোগ দেওয়া নেতা নেত্রীদের তৃণমূলের পতাকা ধরানোর সময়ে আসন ছেড়ে মঞ্চের আশেপাশে জড়ো হন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। ফলে, ভিড় হয়ে যায়। আর সে কারণেই তৃণমূলের ওই কর্মসূচিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় ছিল না। অনেকের মুখে ছিল না ‘মাস্ক’।
আর এই নিয়ে দেখা দেয় বিতর্ক। বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধীদলের অভিযোগ, রোজ জেলা ও বালুরঘাট শহরে অনেক সাধারণ মানুষ থেকে সরকারি আধিকারিকরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এই অবস্থায় যে ভাবে স্বাস্থ্য-বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তৃণমূল কর্মসূচি গ্রহণ করল, তাতে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে বিরোধী দল গুলির আশঙ্কা। তবে স্বাস্থ্য-বিধি মেনেই অনুষ্ঠান হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌতম দাসের।উপস্থিত নেতা- কর্মীদের নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক পরে বসতে বলা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন গৌতমবাবু।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584