নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
২০০২ সালের ২২ শে সেপ্টেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী অজয় আচার্য, নবকুমারলাহা, স্বপন সিং, শেখ জালালউদ্দিন, সেক দিলওয়াল ,শুকুর আলি, শেখ তাজ মোহাম্মদ সহ মোট ৯জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে নৃশংস ভাবে কেশপুর ব্লকের পিয়াসালা এলাকায় খুন করে গরুর গাড়িতে মৃতদেহ চাপিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা তিন নম্বর ব্লকের বেনাচাপড়া দাসের বাঁধে মাটিচাপা দিয়ে রেখে দিয়েছিলো সুশান্ত ঘোষ ও তার হার্মাদবাহিনী বলে অভিযোগ।
কিন্তু তাদের মৃতদেহ সেই সময় আর উদ্ধার করা যায়নি। সিপিএমের অত্যাচারে মানুষ মুখ খুলতে পারেনি। ২০১১সালে রাজ্যে পরিবর্তন হওয়ার পর ২০১১ সালের জুনে গড়বেতা তিন নম্বর ব্লকের বেনাচাপড়া এলাকার দাসের বাঁধ থেকে মাটি খুঁড়ে প্রচুর হাড়গোড় উদ্ধার হয়। যেই হাড়গোড় গুলির ডিএনএ পরীক্ষা করে জানা যায় তারমধ্যে অজয় আচার্যর মৃতদেহ ছিল।
আরও পড়ুনঃ ডিজিটাল কার্ডহীনদের জন্য ফুড কুপনের ওপর বারকোড
অজয় আচার্যের ছেলে শ্যামল আচার্য ও তার পরিবারের লোকেরা আনন্দপুর থানায় তৎকালীন রাজ্যের মন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ সহ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। এরপর সুশান্ত ঘোষ সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই মামলার দায়িত্বভার নেয় সিআইডি। যে মামলায় সুশান্ত ঘোষ এখন জামিনে মুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ শীঘ্রই পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী
২০১১সালে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ওই ৯ জনের স্মৃতির উদ্দেশ্যে পিয়াসালা গ্রামে শহীদ বেদী তৈরি করা হয়। সেই দিন থেকে প্রতিবছর ২২ শে সেপ্টেম্বর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে পিয়াসালা গ্রামে শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেস।
মঙ্গলবার ওই গ্রামে গিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো, কেশপুরের বিধায়ক শিউলি শাহা, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা উত্তমানন্দ ত্রিপাঠী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো বলেন, “শহীদদের রক্ত ব্যর্থ হবে না। সিপিএমের হার্মাদরা ওই ৯ জন দলীয় কর্মীকে খুন করে তাদের মৃতদেহ লোপাট করে দিয়েছিল, তাদের উপযুক্ত শাস্তি হবে।” তিনি বলেন শহীদ পরিবার গুলির পাশে দল রয়েছে, আগামী দিনেও থাকবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584