মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
উত্তরপ্রদেশের হাথরসে গণধর্ষণ করে খুন এবং নির্যাতিতার বাড়িতে যাওয়ার পথে তৃণমূল প্রতিনিধির উপর যেভাবে অসভ্য আচরণ করেছে যোগীর রাজ্যের পুলিশ। তার প্রতিবাদে গত শনিবার কলকাতার রাজপথে মিছিলে অংশ নেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ওই মিছিল শেষে তিনি গর্জে উঠলেন লাগামহীন অন্যায়ের প্রতিবাদে এবং তার নির্দেশেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ধিক্কার ও প্রতিবাদ করা হচ্ছে। আর তার ব্যতিক্রম রইল না কোচবিহার জেলাতেও। শুক্রবার মহিলা সংগঠনের জেলা সভানেত্রী সুচিস্মিতা দেবশর্মার নেতৃত্বে কোচবিহার শহরের সাগরদিঘীর পাড়ে সংগঠনের হাজারের বেশি মহিলা সাগরদিঘী এলাকায় একটি মিছিল করে।
ওই মিছিল শেষে সাগরদিঘী পাড়ে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান বিক্ষোভ আন্দোলন করেন তৃণমূলের ওই মহিলা সংগঠন। এদিন সুচিস্মিতা দেবশর্মা ছাড়াও কয়েক শতাধিক মহিলা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কো-অর্ডিনেটর তথা মেখলিগঞ্জের বিধায়ক অর্ঘ্যরায় প্রধান, দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক খোকন মিয়া, যুবনেতা সম্রাট মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।
এদিন সংগঠনের জেলা সভানেত্রী সুচিস্মিতা দেবশর্মা বলেন, “হাথরসে এক মহিলাকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলা হয়েছে। তারপরেও সেখানকার পুলিশ ও প্রশাসন যেভাবে গোটা বিষয়টি আড়াল করার চেষ্টা করছে, তা নজিরবিহীন। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেভাবে মহিলারা ধর্ষিতা হচ্ছে, নির্যাতিত হচ্ছে তারই প্রতিবাদে আমাদের এই আন্দোলন।”
আরও পড়ুনঃ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গড়ে আবার ভাঙন
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের হাথরসে এক বছর কুড়ির দলিত তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। মৃত তরুণীর দেহ পুলিশ, পরিবারকে আড়ালে রেখেই তড়িঘড়ি পুড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার জেরে ওই রাজ্যের শাসকদল বিজেপিকে নিশানা করেছেন বিরোধীরা।
আরও পড়ুনঃ স্থায়ীকরণের দাবিতে বালুরঘাটে কম্পিউটার শিক্ষকদের ডেপুটেশন
হাথরসের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলকে আটকে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সেখানে পুলিশের ধাক্কায় মাটিতে পড়ে যান তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। গত বৃহস্পতিবার কতকটা একই ধরনের ঘটনার শিকার হন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584