সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগণাঃ
বিশ্বে ইতিমধ্যেই মহামারীর আকার ধারণ করেছে করোনা। ভারতেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৬ পেরিয়েছে। রাজ্যও আতঙ্কের মাত্রা দিকে দিকে বাড়ছে। তবে এবার লক্ষ্য দক্ষিন সুন্দরবন।
জঙ্গলের একাধিক জায়গায় এই ভাইরাস সংক্রমনে না ভুগলেও আতঙ্ক একটা রয়েই গেছে সুন্দরবন বাসীদের মনে। বিশেষ করে বাইরে থেকে আসা গঙ্গাসাগর তীর্থযাত্রীদের মধ্যে এই আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুনঃ করোনা মোকাবিলায় তৎপর রাজ্য সরকার, ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ
বছরের নিদিষ্ট দিন ছাড়াও, বিভিন্ন রাজ্য থেকে এই গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরে প্রায় প্রতিদিন কয়েক হাজার তীর্থযাত্রী আসছেন ।তীর্থযাত্রীদের কথা মাথায় রেখে এবার তৎপর হল জেলা প্রশাসন । সাগরদ্বীপের বিধায়কের পক্ষ থেকে তীর্থ যাত্রীদের পাশে এগিয়ে এলেন সুন্দরবন পর্ষদের চেয়ারম্যান বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা।
মন্দির চত্বরে নিজের তত্ত্বাবধানে তীর্থ যাত্রীদের হাতে গঙ্গাসাগর পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাদক্ষ্য ,সভাপতি এবং তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতিদের নিয়ে এদিন তিনি মাস্ক বিতরণ করেন। এমনকি করোনা নিয়ে সকল তীর্থ যাত্রীদের সর্তকতাও করলেন বিধায়ক বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা।
মন্দির চত্বরের চারিদিক ঘুরে ঘুরে তিনি এই কর্মসূচী করেন। এর পাশাপাশি প্রতিটি খাবার দোকানদারদের কাছে হ্যাণ্ড ওয়াস ব্যবহারের আর্জিও করেন বঙ্কিম বাবু।
অপরদিকে জেলায় বেশির ভাগ হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমানে নেই করোনা প্রতিরোধক মাস্ক । এমনকি সাগর গ্রামীন হাসপাতালেরও একই অবস্থা। সাগর গ্রামীন হাসপাতালের বি এম ও এইচ পুলকেশ ঘোষের সঙ্গে কথা বলে তীর্থ যাত্রীদের পাশে দাঁড়ালেন বিধায়ক।
নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অর্থ দিয়ে একাধিক তীর্থযাত্রীদের হাতে মাস্ক তুলে দেন তিনি । এ সম্পর্কে বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা বলেন, “তীর্থযাত্রীদের সচেতন রাখাটা একটা বড় দায়িত্ব। যারা আসছেন তাদের এই ভাইরাস যাতে কাবু করতে না পরে তারই জেরে এই উদ্দ্যোগ”।
এছাড়াও তৃনমূল কংগ্রেস সর্মথকদের নির্দেশ দেন প্রতিটি জায়গায় সচেতনতা ক্যাম্প করার । যাতে করে মহামারী করোনা সাগরদ্বীপকে গ্রাস না করতে পারে। তার জন্য তৎপর রাজ্য সরকার সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584