সমর্পিতা বন্দোপাধ্যায়, ওয়েবডেস্কঃ
করোনা ব্যাধিতে বাংলাদেশের অবস্থা যখন এক প্রকার বিধ্বস্ত তখন গত রবিবার থেকে সীমিত পরিসরে বাজার খুলতে শুরু করেছে তারা। পোশাক কারখানাগুলো আগেই খোলা হয়েছিল এখন মার্কেট খুলে দিলো তাদের সরকার তবে সেটা সীমিত পরিসরে। এদিন তাদের স্বাস্থ্য অধিকারিক জানিয়েছে যে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮৭ জনের মধ্যে সংক্রমণ ঘটেছে যা কিনা এখনো পর্যন্ত সব থেকে বেশি।
লকডাউন শিথিল করে মার্কেটসহ খুলে দেওয়া হলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে বলে অনেকেই মনে করছেন। তবে অর্থনীতির ধরে রাখতে তাদের এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে। তার জন্যই মার্কেট-সহ অন্যান্য সব কিছু খুলে দিতেই হবে। তবে সেটাও করতে হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ কথা জানিয়েছেন তাদের প্রশাসন। যদি এই সামাজিক দূরত্ব না মেনেই দোকান খোলা হয় তবে আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপকহারে বাড়তে পারে বলে ধারনা ।
আরও পড়ুনঃ মিথ্যা খবরে হতাশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান
ডা. লেনিন চৌধুরী বলেন, “দুর্ভাগ্যজনক হলেও বাংলাদেশে লকডাউন শিথিল করার সময় জনস্বাস্থ্য বিধিগুলো মেনে নেওয়া হয়নি।” মি চৌধুরীর বলেন যে ” মৃতের সংখ্যাও বেড়ে যাবে, ভোগান্তির সংখ্যাও বাড়বে। এটিকে যোগ-বিয়োগ করলে, অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালু করার মধ্য দিয়ে যতটা লাভবান হওয়ার কথা ভাবছি, স্বাস্থ্য খাতে খরচ এবং ভার বেড়ে যাওয়ার কারণে তা না হয়ে অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।”
তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, তাদের দেশে আইসোলেশন শয্যার সংখ্যা ৮৬৩৪টি।এবং পুরো দেশে ৩০টির বেশি ল্যাবে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584