মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
লকডাউন অমান্য করে শেষ পর্যন্ত বেড়িয়ে পড়েছিলেন টোটো নিয়ে যদি কিছু রোজগার হয় এই আশায়। কিন্তু শহরে ঢুকতেই পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হল টোটো চালকদের। কোথাও চাকার পাম্প ছেড়ে দিয়ে কান ধরে ওঠবস করানো হল। আবার কোথাও টোটোই আটক করে দেওয়া হল। প্রায় একই রকমের এই ছবি দেখা গেল কোচবিহার ও মাথাভাঙা শহরেও।
আজ সকালেই কোচবিহার শহরের হাসপাতাল মোড় এলাকায় বেশ কিছু টোটো চলেছিল। আর তাঁদের দেখেই কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা কোন টোটোর চাকার হাওয়া ছেড়ে দেন। আবার কোন টোটোর চাবি নিয়ে নেওয়া হয়। শেষে লাইন করে দাঁড় করিয়ে কান ধরে ওঠবস করানোর পর ছেড়ে দেওয়া হয়, যাতে লকডাউন উঠে না যাওয়া পর্যন্ত তারা বাড়িতেই থাকে।
কিছুটা একই রকম দৃশ্য দেখা গেল মাথাভাঙা শহরেও।
শহরে টোটো আর মোটর সাইকেলের দৌরাত্ম কমাতে আগে থেকেই বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড করা হয়েছিল। আজ সকাল সকাল সেই ব্যারিকেড গুলোর কাছে একের পর এক টোটো এসে জমা হতে থাকে। কোথাও কোথাও পুলিশের অনুপস্থিতিতে ব্যারিকেড খুলে শহরের ভিতরে প্রবেশের চেষ্টাও করা হয়। আর এরপরেই পুলিশ এসে বেশ কিছু টোটো আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশের বক্তব্য, লকডাউন ভেঙে শহরের রাস্তায় নামায় টোটো গুলোকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দেদার চলছে গুটখা, সিগারেট বিক্রি
এক টোটো চালকের কথায়, “ঋণ নিয়ে টোটো কিনেছি। এটা চালিয়ে দুবেলা খাওয়ার ব্যবস্থা হত। আর কিস্তিও দেওয়া হত। কিন্তু এতদিন ধরে লকডাউন চলায় খুব সমস্যায় পড়ে গিয়েছি।জানি ভাইরাস আক্রান্ত হতেই পারি। কিন্তু পেট তো আর কথা মানে না। তাই নিরুপায় হয়ে বের হয়েছি।”
অন্য এক টোটো চালকের কথায়, “অনেকেই বলবেন রেশন পাচ্ছি। যে রেশন পাচ্ছি তা নয় একবেলা খেয়ে কোন ভাবে বেঁচে থাকলাম। আর খরচ নেই? টোটোর কিস্তি দিতে হবে না? অসুখ বিসুখ আরও নানা সমস্যা আছে। সরকারকে কিছু একটা ভাবতেই হবে। না হলে আজ যেমন আমরা ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে বেড়িয়ে পড়েছি। এই সংখ্যা দিন দিন আরও বাড়বে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584