লকডাউনের মধ্যেও মাকে নিয়ে ভারত ভ্রমণ করছেন কৃষ্ণা

0
39

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

লকডাউনের মাঝে যখন ভিন রাজ্য থেকে বাড়িতে ফিরে ব্রাত্য স্বামী ছেলেরা, তখন বৃদ্ধা মাকে স্কুটারে চাপিয়ে ভারত ভ্রমণ করে বেড়াচ্ছেন কর্ণাটকের মহীশূরের ডি কৃষ্ণা কুমার। যদিও লকডাউনের মধ্যে বেশ কিছু ঝক্কি সামলাতে হয়েছে তাকে। তবে প্রবল মনের জোর আর ইচ্ছা শক্তির ওপর ভর করেই চলছে তার ভারত ভ্রমণ।

Tour | newsfront.co
ভারত ভ্রমণে। নিজস্ব চিত্র

বছর ৫০ এর ডি কৃষ্ণা কুমার একসময় কর্ণাটকের একটি নামজাদা কর্পোরেট হাউসের কর্মী ছিলেন। তবে বাবার মৃত্যুর পর তার মায়ের ইচ্ছে ভারতের প্রতিটি সংস্কৃতিকে স্পর্শ করে দেখা। ঘুরে দেখা ছোট বড়ো মন্দির। মায়ের সেই ইচ্ছে পূরণ করতে চাকরি ছেড়ে ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি বাবার পুরনো চেতক স্কুটারে ৭০ বছর বয়সি বৃদ্ধা মাকে চাপিয়ে ভারত ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন তিনি।

আরও পড়ুনঃ হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালকে করোনা বেড প্রদান বেসরকারি কারখানা কর্তৃপক্ষের

তামিলনাডু, কেরালা, গোয়া হয়ে উত্তর ভারতের সমস্ত রাজ্য ভ্রমণের পর তিনি মাকে স্কুটারে চাপিয়ে ঘুরে বেড়ান নেপাল, ভুটান, মায়ানমার। তবে করোনা পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকেই দার্জিলিংয়ে আটকে পড়েন লকডাউনে। অবশেষে সাংসদ রাজু বিস্তার মধ্যস্থতায় তার সঙ্গে কথা হয় কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার।

আরও পড়ুনঃ ক্লান্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে স্থানীয় প্রশাসন

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর উপদেশে মাকে নিয়ে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন ডি. কৃষ্ণা কুমার। তার যাওয়ার সব ব্যবস্থা করে দেন সাংসদ নিজেই। সেই মুভমেন্ট পাস নিয়েই ৫৪১২০ কিলোমিটার ভ্রমনের পর শুক্রবার রাতে খড়গপুর পৌঁছান কৃষ্ণা কুমার ও তার মা। খড়্গপুরের রাত্রি যাপনের পর শনিবার সকালে মাকে স্কুটারে চাপিয়ে ফের পাড়ি দিয়েছেন ভুবনেশ্বরের পথে।

ভারত ভ্রমণের খরচ বহন করতে এগিয়ে এসেছে অনেক সংগঠন থেকে ব্যক্তি। তবে হাসিমুখে সমস্ত অর্থ সাহায্যই ফিরিয়ে দিয়েছেন ডি. কৃষ্ণা কুমার। এমন ছেলে পেয়ে গর্ব বোধ করছেন মা চূড়ারত্নাও। তার দাবি, এমন ছেলে পেয়ে আমি সত্যিই গর্বিত। ছেলের এই মাতৃভক্তি নজিরবিহীন বলেই দাবি বিভিন্ন মহলের।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here