তাপস চৌধুরী,পলতাঃ
১৯৫০ সালে কয়েকজন সংস্কৃতিপ্রেমী অখ্যাত মানুষ পূর্ববঙ্গ ছেড়ে পলতার শান্তিনগরে বসবাসকারী হিসেবে সূচনা করেছিলেন কবিগান উৎসবের। হ্যাজাক লন্ঠন জ্বেলে কবিগান চলার সময় শুনতে আসতেন বহু মানুষ।ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সে সময় যে চিত্র চোখে পড়ত,এখনও তা অব্যাহত রয়েছে।তবে হ্যাজাক বাতি রূপান্তরিত হয়েছে আলোকোজ্জ্বল বৈদ্যুতিন বাতিতে। এখন বড় ময়দানে শামিয়ানার নীচে সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে তা পরিবেশিত হচ্ছে। বিখ্যাত বাউল ও কবিয়ালরা সেখানে গান গেয়ে শান্তিনগরের নাম উজ্জ্বল করেছেন।
১৮ থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হলো পলতার শান্তিনগরে কবিগান ও বাউল উৎসব।অনুষ্ঠান চলাকালীন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত মানুষের সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো।আয়োজক কমিটির সম্পাদক গৌর চন্দ্র বিশ্বাস বলেন , রাজ্যের লোকসংস্কৃতিতে কবিগান ও বাউল একটি বড় অংশ দখল করে রয়েছে।আধুনিক সমাজে তার প্রচার ও প্রসার বিভিন্ন কারণে লুপ্তপ্রায়।কিন্তু তাদের পূর্বসূরী তথা অগ্রজের ব্যাক্তিদের চালু করা এই উৎসব উনসত্তর বছর ধরে অবিচ্ছেদ্যভাবে চলে আসাটা তাঁদের কাছে একটি বড় সাফল্য এবং তাঁরা চেষ্টা করবেন আগামী দিনে সুস্থ সংস্কৃতি বজায় রাখতে আগামী প্রজন্মের কাছে এই দায়িত্ব সঁপে দিতে। সভাপতি তপন কুমার মন্ডল বলেন তাঁদের এই মহতী কর্মযজ্ঞে স্থানীয় মানুষ ও পৌরপ্রশাসন সর্বতোভাবে সাহায্য করেন।বিশেষ উল্লেখ্য, এই অঞ্চলের বাউল গান ও যাত্রা উৎসবে স্থানীয় কলাকুশলীরা অংশগ্রহণ করেন। এদিন আয়োজক কমিটির বেশ কিছু প্রবীণ সদস্যকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়।
নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং আমন্ত্রিত হয়ে কমিটির পক্ষ থেকে রাজ্যের বেশ কয়েকজন প্রতিভাবান ব্যক্তিকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন। সম্বর্ধিত হন এভারেস্ট জয়ী বাঙালি দেবাশীষ বিশ্বাস এবং সাইকেলে পরিভ্রমণকারী ভারতের প্রথম মহিলা লিপিকা বিশ্বাস এবং অন্যান্য গুণীজনেরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584