রাহুল রায়,পূর্ব বর্ধমানঃ
অনেক বছর আগেকার কথা।তা প্রায় একশো থেকে দেড়শো বছর আগে সমগ্র রায়ান জুড়ে তখন চলছে মহামারি।আর সেই মহামারীর বিপদ থেকে রক্ষা পেতে আরাধনা করতে এগিয়ে এলো রায়ান পশ্চিম পাড়ার জনগণ মা রক্ষা কালীর।
তারপরে রায়ান শ্রীকৃষ্ণ পাঠাগার তৈরি হওয়ার পর এই রক্ষা কালী মায়ের পুজোর দায়িত্ব নেয় রায়ান শ্রীকৃষ্ণ পাঠাগার।সদ্য দিনে তৈরি হয় মা রক্ষা কালীর মূর্তি।আবার মায়ের নিরঞ্জন হয়ে যায় ভোরের আলো ফোটার আগেই।এই রীতি মেনেই দেড়শ বছর ধরে চলে আসছে রক্ষা কালী মায়ের পুজো। মায়ের নিরঞ্জনের একটি অন্য রীতিও আছে সেখানে মাকে উল্টোদিকে ফেলা হয় পুকুরে। সংস্কারই হোক আর ভক্তিতেই হোক তার আগে গন্ডি কাটা হয় গ্রামের শেষ প্রান্তে।অর্থাৎ গণ্ডির এপারে মা সমগ্র গ্রামকে রক্ষা করবেন এটাই সব মানুষের ধারণা।
আরও পড়ুনঃ শতবর্ষ প্রাচীন চঞ্চলা কালির পুজো ঘিরে উদ্দীপনা
এভাবেই দেড়শ বছর ধরে মায়ের পুজো হয়ে আসছে রায়ান পশ্চিম পাড়ায় শ্রীকৃষ্ণ পাঠাগারের উদ্যোগে।স্থানীয় মানুষ মায়ের প্রাঙ্গণে ভিড় করেন।বহু দূর দূরান্ত থেকে মানুষ এই পুজো দেখতে আসে এবং ভক্তি ভরে মাকে পুজো দেয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584